যুব কংগ্রেসের এখন বেহাল দশা! প্রতীকী ছবি।
নিয়োগে দুর্নীতি-সহ নানা প্রশ্নে রাজ্য জুড়ে পথে নেমেছে বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন। আসরে থাকার চেষ্টা করছে বিজেপির যুব মোর্চাও। কিন্তু হাতিয়ার থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় দেখা মিলছে না যুব কংগ্রেসের! একই হাল ছাত্র পরিষদেরও। সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া থমকে গিয়ে যুব কংগ্রেসের এখন বেহাল দশা!
সাংগঠনিক ভাবে কংগ্রেসের শক্তি এখন এমনিতেই সীমিত। তার মধ্যেও নানা বিষয়ে পথে নেমে কর্মসূচি চলছিল দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের। কয়েক মাস ধরে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল সদস্যপদ সংগ্রহ ও সাংগঠনিক নির্বাচনে। যুব কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশিকা ছিল, সদস্যপদ ও নির্বাচনের প্রক্রিয়া ২৬ জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে। পরে আবার তার মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু সে সব পর্ব অনেক দিন মিটে গেলেও এখনও নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়নি। প্রদেশ যুব কংগ্রেসের বিদায়ী সভাপতি শাদাব খানের এখন আর সাংগঠনিক কর্মসূচির ‘দায়’ নেই। আবার নতুন সভাপতির নামও ঘোষণা হয়নি। ফলে, সসেমিরা অবস্থায় পড়েছে যুব কংগ্রেস!
মাথা পিছু ৫০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে অনলাইনে যুব কংগ্রেসের সদস্য হতে হয়েছে এ বার। সেই সঙ্গেই অনলাইনে ভোট। আগেকার সেই চেয়ার ভাঙা, মারামারির নির্বাচন এড়ানোর জন্যই নতুন ব্যবস্থা। ঠিক হয়েছিল, অনলাইন ভোটে যে তিন জন প্রার্থী প্রথম দিকে থাকবেন, দিল্লিতে তাঁদের ডেকে ইন্টারভিভ করা হবে। তার পরে যুব সভাপতির নাম চূড়ান্ত হবে। সূত্রের খবর, এখনও কেউ দিল্লিতে ডাক পাননি। যুব কংগ্রেসের এক কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের কথায়, ‘‘ভোটের পরে এখন স্ক্রুটিনি চলছে। তাতে একটু সময় লাগছে।’’ অনলাইন ভোটের স্ক্রুটিনিতে কত সময় লাগবে, তার নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেতাদের কাছেও নেই।
প্রথা অনুযায়ী, যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে প্রার্থী হলে সংগঠনের অন্য পদ থেকে তাঁকে ইস্তফা দিয়ে আসতে হয়। ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদ ইস্তফা দিয়েই যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। এখন আর পুরনো পদে ফিরে যাওয়ার উপায় নেই, আবার ছাত্র সংগঠনের নতুন সভাপতিও হয়নি। তাই ছাত্র পরিষদও এখন কার্যত ‘মাথাহীন’! সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস আসন্ন। এমন ছন্নছাড়া দশা নিয়ে কী ভাবে অনুষ্ঠান হবে, প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরে।
এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস আপাতত এআইসিসি-র বেঁধে দেওয়া কর্মসূচি পালনেই নজর দিচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে মহা-সমাবেশের ডাক দিয়েছে এআইসিসি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে এই বিষয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা কী ভাবে ওই ‘দিল্লি চলো’য় শামিল হবেন, সেই প্রসঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তার আগে মঙ্গলবার থেকে এআইসিসি-র ডাকেই নানা বিধানসভা এলাকায় শুরু হয়েছে ‘মেহঙ্গাই পে চর্চা’ শীর্ষক আলোচনা-সভা।