প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল প্রেমিকার দাদুর বাড়ির সামনে থেকে। মৃত প্রেমিকের হাতে তখনও ধরে রাখা সিঁদুরের কৌটো। কানে রয়েছে ইয়ারফোন। খুন না কি আত্মহত্যা, রহস্য দানা বাঁধছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের নারিচা গ্ৰামে। মৃত যুবকের নাম কার্তিক দলুই। তাঁর বয়স ২২। ওই যুবক বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের গোঁসাইগ্ৰামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, কার্তিকের সঙ্গে খণ্ডঘোষের নারিচা গ্ৰামের এক কিশোরীর বছরখানেক ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নারিচা গ্ৰামেই কার্তিকের মামার বাড়ি। জানা গিয়েছে, সেখানে যাতায়াতের সূত্রেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে স্থানীয়দের দাবি। মৃতের আত্মীয় সুজিত খাঁড়া বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজে যোগ দিয়েছিল কার্তিক। শুক্রবার দুর্গাপুরে কাজের জায়গা থেকে বেরোলেও বাড়ি ফেরেনি সে। পরে জানা যায়, কার্তিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে দাবি, রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা ফোনে কার্তিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও ফোন ধরেননি তিনি। জানা গিয়েছে, কার্তিক পাত্রসায়রে না ফিরে গিয়েছিলেন নারিচায়, প্রেমিকার বাড়িতে। সেখান থেকে কিছুটা দূরে, প্রেমিকার দাদুর বাড়ির সামনে একটি নারকেল গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কানে গোঁজা ছিল মোবাইলের ইয়ারফোন। তাঁর হাতে ছিল একটি সিঁদুর কৌটো। একই সঙ্গে জামাকাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্য দিকে, ঘটনার পর থেকেই প্রেমিকা-সহ তাঁর পরিবার বেপাত্তা। ফলে আত্মহত্যা না খুন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।