সরকারি ভাবে অবসর নিয়েছেন মাস চারেক আগে। তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রথম আবেদন গৃহীত হয়নি। দ্বিতীয় বার আবেদন জানানো হলেও, তার কোনও জবাব আসেনি এখনও। তা সত্ত্বেও গত চার মাস ধরে বিধানসভায় ‘কর্মরত’ প্রাক্তন বিশেষ সচিব ধৃতিরঞ্জন পাহাড়ি। কাগজে-কলমে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির কোনও অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও বিধানসভার সচিবালয়ে এই প্রাক্তন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সরকারি কাজ চালিয়ে যাওয়া আদৌ আইনসঙ্গত কি না, তা নিয়ে বিধানসভার অন্দরে গুঞ্জন চলছে।
যদিও বিধানসভার স্পিকার বিষয়টি নিয়ে বিশদে কিছু বলতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ধৃতিরঞ্জনবাবুর চাকরির মেয়াদবৃদ্ধি হবে। বিষয়টি সরকারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।’’
ধৃতিরঞ্জনবাবু গত অগস্টে অবসর নেন। তার পরে চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তিনি আবেদন করলেও তা গ্রাহ্য হয়নি বলে বিধানসভা সূত্রের খবর। দ্বিতীয় আবেদনের কোনও সদুত্তর পৌঁছয়নি বিধানসভায়। কাগজে-কলমে বর্তমানে সরকারি কর্মী না হয়েও গত মাসে বিধানসভা অধিবেশনে সচিবালয়ের তরফে অধিবেশন কক্ষের মধ্যে কর্মরত ছিলেন ধৃতিরঞ্জনবাবু। এমনকী সচিবের অনুপস্থিতিতে সচিবালয়ের যাবতীয় দায়িত্ব ধৃতিরঞ্জনবাবুই সামলান। তবে এই চার মাস নিয়মিত ‘সরকারি কাজ’ করলেও কোনও বেতন পাননি তিনি।
কেন এবং কী ভাবে বিধানসভার সচিবালয়ে তিনি এখনও কাজ করছেন, সে ব্যাপারে কোনও মন্তব্যে রাজি হননি ধৃতিরঞ্জনবাবু। তবে বিষয়টি নিয়ে যে দফতরের কর্মীদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, তা অজ্ঞাত নয় সপ্তাহখানেক আগে বিধানসভায় নব-নিযুক্ত সচিব অভিজিৎ সোমের। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি জানি। ধৃতিরঞ্জনবাবু সচিবালয়ে নিয়মিত আসছেন, কাজ করছেন, এটাও ঠিক। তবে আমি সবে দফতরের দায়িত্ব নিয়েছি। তাই ওঁর অবসরের পরে মেয়াদবৃদ্ধি হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানি না।’’