প্রতীকী ছবি।
নিজে টাকা তোলেননি। কোনও ব্যক্তিকে চেকও কেটে দেননি। তবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে চার দফায় গায়েব হয়েছে মোট ৮০ হাজার টাকা। এই অভিযোগ করেছেন পূর্ব বর্ধমানের রায়নার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার গ্রাহক রূপা দাস। তাঁর দাবি, ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাফ জানিয়েছেন যে তিনি টাকা ফেরত পাবেন না। এ নিয়ে রায়না থানায় গেলে তারা অযথা সময় নষ্ট করছে বলেও দাবি রূপার। অবশেষে বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা রুজু করেছেন তিনি।
আদালত সূত্রে খবর, সেহারাবাজার শাখায় সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে রায়নার বোড়ো গ্রামের বাসিন্দা রূপার। তাঁর অ্যাকাউন্টে ৮৪ হাজার ৭১২ টাকা ২৬ পয়সা জমা ছিল। তবে পাশবই আপডেট করানোর পর তিনি জানতে পারেন যে সেহারা গ্রামের এক বাসিন্দা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৮০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন। অভিযোগ, এ নিয়ে ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অসহযোগিতা করেন তিনি। রূপার আইনজীবী চন্দ্রনাথ তা বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কিং লেনদেনের নথি থেকে পরিষ্কার জানা যাচ্ছে, কে টাকা তুলেছেন। সে টাকা কী ভাবে তোলা হল, সেটাই রহস্যের। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ প্রথমে টাকা ফেরতের আশ্বাস দিলেও পরে তা অস্বীকার করেন। তাই বাধ্য হয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে।’’
রূপা অভিযোগ, নানা অজুহাতে সময় নষ্ট করেছে রায়না থানা। তাই বাধ্য হয়ে বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেছেন তিনি। বর্ধমান মহিলা থানাকে যাতে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়, আদালতে সে আর্জিও জানান তিনি। প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তের জন্য মহিলা থানার আইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। রায়না থানার এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘এ ধরনের অভিযোগ জানাতে কেউ থানায় আসেননি। টালবাহানার অভিযোগ ঠিক নয়।’’ অন্য দিকে, মহিলা থানার এক অফিসার বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ এখনও থানায় এসে পৌঁছয়নি। সে কারণে এ বিষয়ে কিছু জানা নেই। আদালত নির্দেশ এলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’