ইসলামপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চত্বরে (কালো শাড়িতে) অভিযুক্ত মহিলা। —নিজস্ব চিত্র।
হাসপাতাল থেকে এক সদ্যোজাতকে চুরি করে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক মহিলা। বুধবার সকালে এই অভিযোগে ইসলামপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এক প্রসূতির আত্মীয়পরিজনেরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করলে পুলিশ এসে অভিযুক্ত মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীদের আত্মীয়েরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইসলামপুরের ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে সাতসকালে বাচ্চা চুরি করে পালাচ্ছিল বলে এক মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন প্রসূতির আত্মীয়স্বজনদের। তাঁদের দাবি, সকাল থেকে বার বার পোশাক বদল করে হাসপাতালে ঢোকেন ওই মহিলা। এর পর প্রসূতি বিভাগ থেকে সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহ হয়। বাচ্চা চুরির অভিযোগে ওই মহিলাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় ইসলামপুর থানায়। হাসপাতালে এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রসূতির আত্মীয়স্বজনেরা। অনেকের দাবি, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এড়িয়ে কী ভাবে তিনি ভিতরে ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রসূতির আত্মীয়স্বজনের আরও প্রশ্ন, হাসপাতালে এত নিরাপত্তারক্ষী ঘটনার সময় কী করছিলেন? ওই মহিলা বাচ্চা নিয়ে চলে গেলে তার দায় কে নিতেন? প্রসূতির এক আত্মীয় আসমা খাতুনের দাবি, ‘‘সকাল ৬টার সময় ওই মহিলাকে হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে দেখি। সে সময় চুড়িদার পরে ঢুকেছিলেন। আর এক বার দেখি, শাড়ি পরে ঢুকেছেন। বাচ্চাদের জন্য খাবার-জামাকাপড় নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। ওই মহিলাই বাচ্চা চুরি করে পালাচ্ছিল।’’
হাসপাতালে ক্ষোভের মুখে অভিযুক্ত। —নিজস্ব চিত্র।
এই ঘটনায় নিজেদের গাফিলতির কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের ফেসিলিটি ম্যানেজার এহসান আলি আফজল। তিনি বলেন, ‘‘রোগীর সঙ্গে এসেছেন বলে সকালে হাসপাতালে ঢুকেছিলেন এক মহিলা। সকালে যাঁরা চা দিতে হাসপাতালে ঢোকেন, তাঁদের সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে কোনও ভাবে ওই মহিলাও ঢুকে গিয়েছেন। এতে আমাদের গাফিলতি হয়েছে।’’