এ বার ৩২টি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির থেকে। ফাইল চিত্র।
১০ এপ্রিল দুয়ারে সরকারের ষষ্ঠ সংস্করণের প্রথম পর্যায় শেষ হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, এই ১০ দিনের শিবিরে ব্যাপক সাড়া মিলেছে জনমানসে। তথ্য পরিসংখ্যান তেমনটাই বলছে বলে দাবি করেছেন রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক। প্রশাসন সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের জন্য। সংখ্যাটি ১৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৩৫টি। লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৯৮৬টি।
মার্চ মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ১ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবিরে সরকারি পরিষেবা পেতে আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ চলবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি মতোই কাজ শুরু হয়। ১০ দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ৯৫ লক্ষ ৩৭৭টি শিবির হয়েছে। সেই শিবিরগুলিতে মোট ৪২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫৫টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এ বার ৩২টি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির থেকে। সেই শিবিরগুলিতে ইতিবাচক সাড়া পেয়েই শিবিরের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ১১-২০ এপ্রিল পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবিরে গৃহীত আবেদনের ভিত্তিতে পরিষেবা প্রদানের সময়সীমা ধার্য ছিল। সেই সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। সোমবার নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই মেয়াদবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আগে ঠিক ছিল, দুয়ারে সরকার শিবিরে যে আবেদন গৃহীত হয়েছে, রাজ্যের সর্বত্র তার পরিষেবা প্রদান করা হবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। সেই তারিখের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল করা হয়েছে। প্রায় ৭৫ শতাংশ আবেদন যাচাই হয়ে গিয়েছে এবং সুবিধা প্রধান হয়ে গিয়েছে প্রায় ৬৪ শতাংশ আবেদনপত্রের। বাকিদের সুবিধা প্রদান চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয় বারের জন্য নবান্ন দখলে রাখতে সাহায্য করেছিল এই দুয়ারে সরকার প্রকল্প। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে বাজিমাত করতেও সেই প্রকল্পের ওপরেই ভরসা রাখছে তাঁর সরকার।
জেলাওয়াড়ি রিপোর্ট অনুযায়ী, সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায়। প্রায় ৭ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে মুর্শিদাবাদে।