শীতের সকালে। সোনামুখীর কল্যাণপুর গ্রামে। ছবি: শুভ্র মিত্র।
আপাতদৃষ্টিতে থার্মোমিটারে পারদের ওঠানামা সামান্যই। তবে রাজ্যে শীতের দাপট আপাতত অব্যাহত। আবহবিদদের পূর্বাভাস, আরও অন্তত দু’দিন পরিস্থিতি এমনই থাকবে। তার পরে মাথাচাড়া দিতে পারে রাতের তাপমাত্রা। তবে শীতের বিদায়বার্তা এখনও পায়নি হাওয়া অফিস। তার ফলে জানুয়ারির শেষ লগ্নে আরও এক দফা শীতের কামড় দেখা যাবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা বিস্তর।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। তবে সোমবারের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে সামান্যই। কলকাতার উপকণ্ঠে সল্টলেক ও দমদমে রাতের তাপমাত্রা অবশ্য খাস কলকাতার থেকে একটু বেশি ছিল। আবার কলকাতার অদূরে ব্যারাকপুরে রাতের তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রিতে। মহানগরের আশেপাশে তাপমাত্রা ১২-১৩ ডিগ্রির কাছেপিঠে থাকলেও শীত পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ভালই দাপট দেখাচ্ছে। পুরুলিয়ার রাতের তাপমাত্রা ফের সাড়ে ৮ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। শ্রীনিকেতন, আসানসোল, পানাগড়ের তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে আছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার হানায় উত্তরবঙ্গের তরাই-ডুয়ার্সের জেলাগুলিতেও সম্প্রতি রাতের তাপমাত্রা তরতরিয়ে অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। তবে সেই ঝঞ্ঝার প্রভাব কেটে যেতেই পারদ ফের নেমে গিয়েছে। এ দিন শিলিগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৭ ডিগ্রি। শীতের দৌড়ে অবশ্য এ দিন কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে উত্তরের মহানগর শিলিগুড়ি। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ির তাপমাত্রা নেমেছে যথাক্রমে ৮.৬ এবং ৯.৪ ডিগ্রিতে।