Winter

Weather Update: বাধা সেই ঘূর্ণাবর্ত, দাপুটে শীত পেতে বাঙালিকে অপেক্ষা করতে হবে আরও এক সপ্তাহ

কারও কারও মতে, বাঙালির পঞ্জিকায় এখনও তো শীতকাল শুরুই হয়নি। পঞ্জিকামতে পৌষ ও মাঘ, এই দুই মাসই শীতকাল বলে গণ্য হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:১০
Share:

শীতের জন্য আরও কমপক্ষে দিন সাতেক অপেক্ষা করতে হতে পারে। ফাইল চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় জ়ওয়াদ স্বমূর্তিতে বাংলায় হানা না-দিলেও তার সঙ্গী বৃষ্টি বেগ দিয়েছে কয়েক দিন। বিদায় নেওয়ার আগে সেই অকালবর্ষণ উপহার দিয়ে গিয়েছে ছদ্মশীত। শীত-শীত ভাবের পাশাপাশি মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতায় এক ঝলক নরম রোদের দেখাও মিলেছিল। তবে এখনই কড়া শীতের দাক্ষিণ্য মিলবে, এমন জোরালো আশ্বাস দিচ্ছে না আলিপুর হাওয়া অফিস। আবহবিজ্ঞানীদের বক্তব্য, কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় জমকালো শীতের জন্য আরও কমপক্ষে দিন সাতেক অপেক্ষা করতে হতে পারে।

Advertisement

কারও কারও মতে, বাঙালির পঞ্জিকায় এখনও তো শীতকাল শুরুই হয়নি। পঞ্জিকামতে পৌষ ও মাঘ, এই দুই মাসই শীতকাল বলে গণ্য হয়। এ দিন ছিল ২১ অগ্রহায়ণ। অর্থাৎ ঋতুচক্রে হেমন্তের শেষ লগ্ন শুরু হতে চলেছে। এত আগে জাঁকিয়ে শীতের আবদার বাড়াবাড়ি নয় কি?

হাওয়া অফিসের নথিপত্র দেখলে অবশ্য শীতের এই প্রত্যাশাকে বাড়াবাড়ি বলা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, নভেম্বরের শেষ কিংবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করে। সাধারণ ভাবে কলকাতার নৈশ তাপমাত্রার পতন দেখেই দক্ষিণবঙ্গে শীতের থিতু হওয়ার বিষয়টি বোঝা যায়। মহানগরীতে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি। এর মূলেও দুর্যোগের যোগ আছে। বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের জেরেই রাতের তাপমাত্রার এই উত্থান বলে জানান আবহবিদেরা। আকাশ মেঘলা থাকায় দিনের তাপমাত্রা মাথাচাড়া দিতে পারছে না। তার জেরেই স্যাঁতসেঁতে শীত-শীত ভাবটা রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

জ়ওয়াদের রূপান্তরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বাংলাদেশে সরে গিয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে তুষারপাত চলছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাহাড়ি এলাকায়। উত্তর-পশ্চিমে পরউ পড়লেই পূর্ব ভারতে শীতের কামড় জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তা হলে বঙ্গে শীতের আগমনে বাধা কিসের?

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস এ দিন জানান, নিম্নচাপটি দেশের সীমান্ত ছাড়ালেও বাংলাদেশ এবং লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়ে গিয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে ঠেলে ঢুকছে জলীয় বাষ্পও। উত্তুরে বাতাসের পথে বাধা সেটাই। কয়েক দিনের মধ্যেই এই বাধা কাটতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। ‘‘আগামী সোম-মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রায় ভাল রকম পতন দেখা যেতে পারে,’’ পূর্বাভাস গণেশবাবুর।

পৌষ মাস শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহেই। তা হলে কি পৌষের শুরুতেই বঙ্গে থিতু হবে শীত? উত্তর পেতে অপেক্ষা শুধু এত সপ্তাহের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement