রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। ফাইল চিত্র।
দলে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। এ বারে জেলা কমিটিতে কি তাঁর নাম থাকবে? তা নিয়েই জেলায় শুরু হয়েছে আলোচনা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে জেলা কমিটি তৈরির জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সমীক্ষার কাজ শেষ করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে টিম পিকে। দলীয় স্তর থেকেও একাধিক রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। যে কোনও দিন জেলা কমিটি ঘোষণা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এ বারে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাদের গুরুত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য কমিটি। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে পরেশকে নিয়ে। দলের একটি অংশ মনে করছে, পরেশকে এ বারেও দায়িত্বে রেখা দেওয়া হলে পরবর্তী নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে। আরেকটি অংশ অবশ্য মনে করছে, এমন শীর্ষ নেতাকে গুরুত্ব না দেওয়া হলে বিরোধীদের সুবিধে হবে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “জেলা কমিটি ঘোষণা হলে প্রত্যেকে জানতে পারবেন। আর পরেশ অধিকারী জেলা সংগঠনের কোর কমিটিতে রয়েছেন।”
৮ মার্চ কোচবিহারে গিরীন্দ্রনাথ বর্মণকে সরিয়ে পার্থপ্রতিম রায়কে দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। তার কিছু দিন পরে একটি কোর কমিটিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে এগারো জন সদস্যের মধ্যে পরেশের নাম রয়েছে তিন নম্বরে। তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছে, এর পরে দলীয় নেতৃত্ব রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় নতুন করে কমিটি গঠনে উদ্যোগের কথা জানান। ২০ মে থেকেই ওই কমিটি ঘোষণার কথাও দলীয় সূত্রে জানানো হয়। তার মধ্যেই শিক্ষা সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই দফতরে পরেশকে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। পরেশ এখনও তিনবার সিবিআই অফিসে হাজিরা দিয়েছেন। ফের তাঁকে ডাকা হতে পারে।
শাসকদলের একটি অংশ মনে করছে, পরেশ অধকারীর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অঙ্কিতা অধিকারী কী ভাবে নম্বর কম থাকা সত্ত্বেও তালিকার শীর্ষে চলে গেলেন, তা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। যা দলের পক্ষে ক্ষতিকর। দলের এক নেতার কথায়, “এর পরেও দলীয় সংগঠনে পরেশ থাকলে বিরোধীদের এগিয়ে যেতে সুবিধে হবে।” অন্য এক নেতা বলেন, “সবই অভিযোগ, কিছুই প্রমাণিত নয়। তাই তাঁকে সংগঠন দেওয়া বাদ দেওয়া ঠিক হবে না।”