—নিজস্ব চিত্র।
সাতসকালে ঝাড়গ্রামের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াল এক মত্ত বুনো হাতি। যা ঘিরে আলোড়ন উঠল ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামে। হাতির কাণ্ডকারখানা দেখতে রাস্তায় উপচে পড়ল মানুষের ভিড়। প্রায় গোটা দিন রাস্তায় কাটানোর পর শেষমেশ বিকেল নাগাদ হাতিটি নয়াগ্রামের এক জঙ্গলে ঢুকে যায়।
শুক্রবার সকাল থেকেই নয়াগ্রামের রাস্তায় একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি দেখা যায়। সারা রাত ধরে বালিগেড়িয়ার পাথরবাঁধে মদ তৈরির মহুল খেয়ে একেবারে মত্ত। সে অবস্থাতেই এ দিন বিকেল পর্যন্ত সে দাপিয়ে বেড়াল নয়াগ্রামে। কখনও উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাঁটাচলা, কখনও এগিয়ে-পিছিয়ে যাওয়া। আবার কখনও দেখা গেল, দুলকি চালে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে হাতিটি। তাকে দেখতে সে সময় রাস্তায় নেমে আসে উৎসাহীদের ঢল। এক সময় ওই হাতিটির পিছন পিছন দৌড়তেও দেখা যায় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ ভাবেই প্রায় গোটা দিন পার করল হাতিটি। এর পর এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ ভাতভাঙ্গা থেকে রাজ্য সড়ক ধরে প্রায় তিন কিলোমিটার ধরে হেঁটে হেলেদুলে খড়িকা বাজারের ভিতর দিয়ে নয়াগ্রাম জঙ্গলে ঢুকে যায় সে।
আরও পড়ুন: ৭৪ কিলোর মাছ ধরা পড়ল ক্যানিঙে, নিমেষেই ভাইরাল ছবি
আরও পড়ুন: নেওড়াভ্যালির জঙ্গলে হতে পারে বাঘসুমারি
তবে প্রায় গোটা দিন ধরে একটি বুনো হাতি রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ালেও তার আশপাশে দেখা গেল না বন দফতরের কোনও কর্মী বা আধিকারিককে। এ দিন ওই হাতিকে দেখতে শয়ে শয়ে লোক নামে রাস্তায়। সে সময় কোনও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত বলে মনে করছেন অনেকে। তবে সে ধরনের কোনও ঘটনা না হলেও প্রশ্ন উঠছে বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে।