সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল ছবি।
রাজ্য মন্ত্রিসভা রদবদলের ফাইল ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে কেন? বিবৃতি দিয়ে কারণ ব্যাখ্যা করল রাজভবন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনের এক্স হ্যান্ডলে একটি বিবৃতি পোস্ট করা হয়। সেই বিবৃতিতে কেন মন্ত্রিসভা রদবদলের ফাইল ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রিসভা রদবদল সংক্রান্ত ফাইল ছাড়তে রাজভবন বিলম্ব করছে বলে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। সংবাদমাধ্যমের খবরের জেরেই যে এই বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তাও স্পষ্ট করেছে রাজভবন।
রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের এমনটা ভাবা উচিত নয় যে রাজ্যপাল ফাইলের বিষয়বস্তু খতিয়ে না দেখেই তাঁর কাছে আসা কোনও বিষয়ে অনুমোদন দেবেন। রাজ্যপালের কাছে পাঠানো বিষয়গুলির তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়া হয়েছে কি না, প্রতিটি শর্ত পূরণ করা হয়েছে কি না, সেই বিষয়গুলিও রাজ্যপালকে যে বিবেচনার মধ্যে আনতে হয়, তাও লেখা হয়েছে রাজভবনের বিবৃতিতে।
লোকসভা ভোটে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ব্যারাকপুর থেকে জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছেন। তাই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে। রাজভবনের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, কেন পার্থকে মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে, তা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো ফাইলে উল্লেখ করা হয়নি। তাই ফাইলটি অসম্পূর্ণ ছিল। রাজভবনের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে সেচমন্ত্রী পার্থ সাংসদ হওয়ার কারণেই যে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, তা তাঁরা জেনেছেন সংবাদমাধ্যম থেকে। এ ক্ষেত্রে সরকারের তরফে রাজভবনকে কিছুই জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, নবান্নের একটি সূত্র জানিয়েছিল, মন্ত্রিসভা রদবদলের ফাইল রাজভবনে পাঠানো হলেও, রাজ্যপাল তাতে অনুমোদন দিতে বিলম্ব করছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে জানা যায়, রাজ্যপাল বোস মন্ত্রিসভা রদবদলের ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন। আর বুধবার মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়। পার্থের হাতে থাকা সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব গিয়েছে মানস ভুঁইয়ার হাতে। পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানিকে পাঠানো হয়েছে অচিরাচরিত শক্তি দফতরে। আর পরিবেশ দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। বাবুল সুপ্রিয়কে দেওয়া হয়েছে শিল্প পুনর্গঠন দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব। তার পরেই মনে করা হয়েছিল, মন্ত্রিসভার ফাইল আটকে থাকা বিতর্কের অবসান হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে রাজভবন বুঝিয়ে দিয়েছে, নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের দূরত্ব এখনও কমেনি।
কারণ, ছ’টি উপনির্বাচনের জয়ী বিধায়কেদের শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকাকে ভাল চোখে দেখেননি রাজ্যপাল বোস। এমনটাই রাজভবন সূত্রে খবর।