CPM

সেলিমের ভোটে দাঁড়ানোর সমালোচনা সিপিএম রাজ্য কমিটিতে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও উঠল আপত্তি

বাংলায় শূন্যের গেরো কাটছে না! লোকসভা নির্বাচনে এ বারও রাজ্যে প্রত্যাশিত ফলের ধারেকাছে পৌঁছনো যায়নি। সেই ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করতেই বুধবার বৈঠক বসেছিল সিপিএমের রাজ্য কমিটি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৪ ২৩:১৫
Share:

বৈঠকে মহম্মদ সেলিম। —নিজস্ব চিত্র।

নানা রকম চেষ্টা করেও বাংলায় শূন্যের গেরো কাটছে না! লোকসভা নির্বাচনে এ বারও রাজ্যে প্রত্যাশিত ফলের ধারেকাছে পৌঁছনো যায়নি। এই পরিস্থিতিতে এ বার নিজেদের কাজের পর্যালোচনায় দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের ভোট দাঁড়ানো নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল সিপিএমের অন্দরে! কেউ কেউ আপত্তি তুললেন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও।

Advertisement

ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণের জন্য বুধবার সিপিএমের রাজ্য কমিটি বৈঠক বসেছিল। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে সিপিএমের হুগলি গ্রামাঞ্চলের এক নেতা ও হাওড়া শহরাঞ্চলের আর এক নেতাকে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বলতে শোনা গেল, ‘‘প্রশ্নটা কিন্তু সাহস করে তোলা হয়েছে!’’ কী প্রশ্ন? সিপিএম সূত্রে খবর, রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম কেন ভোটে লড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বর্ধমানের কৃষক সভার নেতা অমল হালদার সেই প্রশ্ন তুলেছেন। সেলিমের ভোটে দাঁড়ানোর সমালোচনাও করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সেলিমই প্রথম রাজ্য সম্পাদক, যিনি লোকসভা ভোটে দাঁড়ালেন। এর আগে সূর্যকান্ত মিশ্র রাজ্য সম্পাদক পদে থাকাকালীন ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। দু’জনের কেউই জিততে পারেননি।

যদিও সেলিমের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে প্রশ্নের কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, সেলিম ‌যদি ভোটে না লড়তেন, তা হলে সংগঠনকে লড়াইয়ের ময়দানে নামানোই যেত না। কলকাতা-সহ একাধিক জেলা কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্য কমিটিকে বলা হয়েছে, ২০১৬-২০২৪ সালের মধ্যে দলের রাজনৈতিক বিপর্যয় হয়েছে! তার মূল কারণ, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট। রাজ্য কমিটির অনেক সদস্য মনে করছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট আসলে উপরের কমিটির চাপিয়ে দেওয়া। নিচুতলায় এই জোটকে কেউ মেনে নিচ্ছেন না। ভোটে তার ফলই ভুগতে হচ্ছে দলকে। এই মতে বিশ্বাসী এক নেতার কথায়, ‘‘রাজ্য কমিটির ভোট-কৌশলে আমাদের রাজনৈতিক অধঃপতন হয়েছে।’’

Advertisement

পাল্টা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘‘আসলে বাস্তব পরিস্থিতি যা, আর ভোটের আগে রাজ্য কমিটিতে যা রিপোর্ট এসেছে, তার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। আসলে নিচুতলায় কমিটি বাঁচানোর জন্য মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এখন সব ধরা পড়ে যাওয়ায় সকলে নিজেদের মতো করে যুক্তি সাজাচ্ছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement