COVID Restriction

COVID Restriction: বাসে-অটোয় যাত্রীতে নজর রাখবে কে

সরকারি ও বেসরকারি বাস এবং অটোতে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী উঠছেন কিনা, তার উপরে কে নজর রাখবে, সেই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি।

সংক্রমণে রাশ টানতে রবিবার নবান্ন থেকে জারি করা নির্দেশে লোকাল ট্রেনের পরিষেবার সময় বেঁধে দেওয়ার কথা বলা হলেও সরকারি ও বেসরকারি বাসের পরিষেবা নিয়ে আলাদা করে কিছু বলা হয়নি। নৈশ বিধিনিষেধের সময়টুকু বাদ দিয়ে সাধারণ ভাবে ভোর পাঁচটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাস পরিষেবা সচল থাকবে বলেই জানাচ্ছেন সরকারি পরিবহণ নিগমের আধিকারিকেরা।

Advertisement

তবে সরকারি ও বেসরকারি বাস এবং অটোতে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী উঠছেন কিনা, তার উপরে কে নজর রাখবে, সেই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বাস মালিকেরা আশ্বাস দিলেও সে কথা কন্ডাক্টররা বা অটোচালকেরা শুনবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আমজনতার মনেই।

তবে, রাত ১০টার মধ্যে ট্রিপ সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি থাকায় প্রান্তিক বাস স্ট্যান্ড থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই বাস ছাড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছেন বেসরকারি বাস-মিনিবাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

রাজ্য পরিবহণ নিগম, উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম সূত্রের খবর, দূরপাল্লার বাস পরিষেবার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই গত কয়েক মাস তাদের বাস চলছে। ফলে, নতুন করে জারি হওয়া সরকারি নির্দেশিকার ফলে তাদের পরিষেবায় খুব বেশি অদলবদল হওয়ার কিছু নেই। লোকাল ট্রেনের পরিষেবা সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে, কিছু রুটের ক্ষেত্রে তাঁদের বাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন রাজ্য পরিবহণ নিগম এবং দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের আধিকারিকেরা।

কলকাতায় সরকারি এবং বেসরকারি বাসে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করার ক্ষেত্রে অবশ্য আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টমহলের লোকজন। বাসে যাত্রী সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার পরে সম্প্রতি দিল্লিতে বাসে উঠতে না পেরে ক্ষিপ্ত যাত্রীদের একাংশ বাসে ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগ করেন বলে অভিযোগ। রাজ্যে, গত দু’বার বিধিনিষেধ

জারি থাকার সময়ে একাধিকবার সরকারি-বেসরকারি বাসে ভিড় বেশি থাকার কারণে যাত্রীদের পুলিশ মাঝপথে নামিয়ে দিয়েছে। প্রান্তিক স্টেশন থেকে সরকারি বাসে যাতে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী না ওঠেন, সে দিকে লক্ষ্য রাখা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পরিবহণ নিগমের আধিকারিকেরা। বেসরকারি বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে সরকারি বিধিনিষেধের আওতায় থেকেই পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

এ দিন, জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সংক্রমণ ঠেকাতে যাত্রীদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকারিবিধি নিষেধ মেনেই পরিষেবা দেওয়ার কাজ করতে হবে।’’ সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা বলেন, ‘‘রাত ১০টা পরে রাস্তায় যান চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় রাতের অন্তিম ট্রিপের বাস সাড়ে ৮টার মধ্যেই প্রান্তিক টার্মিনাল থেকে ছাড়বে। ফলে এখন যে সময় পর্যন্ত পরিষেবা সচল থাকছে ততটা সময় পর্যন্ত বাস পাওয়া যাবে না।’’ বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, “আমাদের বাস নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডেই রাতে থাকে। ফলে সময়ের মধ্যে ফিরে আসার বিষয় রয়েছে।

সে জন্য বেসরকারি বাসের পরিষেবার সময় দেড় থেকে দুঘণ্টা পর্যন্ত কমতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement