নারদের ছাড়া ভিডিও ঘিরে উথালপাথাল রাজ্য রাজনীতি। দুপুরেই তৃণমূল কংগ্রেস বিবৃতি দিয়ে দাবি করে যে, গোটা ব্যপারটাই সাজানো। সন্ধ্যায় তৃণমূল ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন মুকুল রায়কে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বসলেন, তখন বোঝাই যাচ্ছিল কী বলতে যাচ্ছেন তাঁরা।
পার্থ বলেন, ‘‘আমরা সততায় বিশ্বাসী। স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী।’’ মুকুল বললেন, ‘‘গোটাটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’’
এর মধ্যেই হঠাত্ বেফাঁস প্রশ্ন তুলে ফেললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ‘‘এত টাকা কোথা থেকে এল? এই টাকার সোর্স কী? কাউকে পাঁচ লাখ, কাউকে দশ লাখ... এত টাকা কোথা থেকে এল? বিদেশি টাকা নয় তো?’’ নারদ সংস্থার বিরুদ্ধে তোলা নিজের প্রশ্নের জালে যখন জড়িয়ে পড়তে চলেছেন পার্থ, তাঁর কথার মাঝখানে ঢুকে পড়ে তুখোড় রাজনীতিকের মতোই প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিলেন মুকুল রায়। কিন্তু তত ক্ষণে যেটুকু বলার বলে তো দিয়েছেন! গোটা ভিডিওটাই সাজানো বলে যখন তেড়েফুড়ে বলছেন তৃণমূল নেতারা, তখন সেই ভিডিওতেই দেখানো ‘এত টাকার সোর্স’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে পার্থ কি ভিডিও-র সত্যতাকে মান্যতা দিয়ে ফেললেন? এই প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন:
নারদের স্টিং অপারেশন, ঘুষ বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের ১১ শীর্ষ নেতা
তহেলকা স্টিং অপারেশনে সেই ১৪ মার্চ জর্জের ইস্তফা চেয়েছিলেন মমতা
সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল রায় প্রশ্ন তোলেন, ২০১৪ সাল থেকে যে স্টিং অপারেশন চলছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেটা ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই কেন প্রকাশ করা হল! মুকুলের মতে, এটাই প্রমাণ করছে গোটাটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। দলের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মুকুল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন পার্থ, মুকুল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর দলের বিরুদ্ধে ষড়ষন্ত্র আর কুত্সার জবাব মানুষ ভোটযন্ত্রেই দেবেন।