সিঙ্গুরের কী হবে, প্রশ্ন উঠল ইন্ডোরেও

এ বারও ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সিঙ্গুরের চাষিরা জমি ফেরত পাবেনই। ভোট মিটলেও সিঙ্গুরের চাষিদের প্রতিশ্রুতি পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহত। ভোটের পর দলের প্রথম কর্মশালাতেই তাই সিঙ্গুরের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৬ ০৮:৪৪
Share:

এ বারও ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সিঙ্গুরের চাষিরা জমি ফেরত পাবেনই। ভোট মিটলেও সিঙ্গুরের চাষিদের প্রতিশ্রুতি পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহত। ভোটের পর দলের প্রথম কর্মশালাতেই তাই সিঙ্গুরের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাও পুরোদস্তুর নাটকীয় ভাবে!

Advertisement

এ দিনে নেতাজি ইন্ডোরে দলের রাজনৈতিক কর্মশালায় মমতা তখন কর্মীদের আরও বেশি করে জনসংযোগের নির্দেশ দিচ্ছেন। হঠাৎই মঞ্চের সোজাসুজি স্টেডিয়ামের শেষ মাথায় গ্যালারি থেকে একটা প্রশ্ন ধেয়ে আসে নেত্রীর উদ্দেশে! অতদূর থেকে প্রশ্ন করলে মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুনতে পাওয়ার কথা নয়। দিদিও শুনতে পাননি। তবে বুঝতে

অসুবিধা হয়নি, কোনও গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তাই বলেন, কে প্রশ্ন করছেন? কী বলছেন?

Advertisement

প্রায় রিলের রেসের ব্যাটন হস্তান্তরের মতো শেষমেশ সেই প্রশ্ন জানতে পারেন মমতা— ‘‘দিদি সিঙ্গুরের কী হবে?’’ এ ভাবে খোলা মঞ্চে সিঙ্গুর নিয়ে দলের মধ্যে থেকে প্রশ্ন আসাটা প্রত্যাশিত ছিল না। বরং দলের অনেকেরই মতে অস্বস্তির! হয়তো তাই ক্ষণিকের জন্য অসন্তুষ্টও হন তৃণমূলনেত্রী। তাই জবাবে বলেন, ‘‘কিচ্ছু হবে না।’’ তবে বিষয়টি গুরুত্বের কথাটি মাথায় রেখে ত্বরিতে সামলে নেন নিজেকে। আশ্বাসের সুরেই বলেন, ‘‘চাষিরা জমি পাবেনই। জমি তো আমাদের হাতেই আছে। চিন্তা করবেন না। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালতের উপর আস্থা রাখুন।’’

সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন সিঙ্গুর মামলার নিষ্পত্তি আগামী ৫০ বছরেও সম্ভব নয় বলে বেশ কিছু দিন আগে বিধানসভায় মন্তব্য করেছিলেন মমতা। এই মন্তব্য যে তাঁরই ‘ব্যর্থতা’ তা নিয়ে বিরোধীদের চাপের মুখে পড়তেও হয়েছিল তাঁকে। পরে ভোটের সময় সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন, অনিচ্ছুক চাষিরা জমি ফেরত পাবেনই।

তবে প্রশ্নটা সেই ঝুলেই রইল, কবে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement