সোমবার সকালে ইডি হেফাজত থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হুগলির যুবনেতাকে। ফাইল চিত্র ।
তাপস মণ্ডলকে যে তিনি টাকা দিয়েছিলেন, সেই প্রমাণ তিনি ইতিমধ্যেই সিবিআইকে দিয়েছেন! বিধাননগর হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে এসে সোমবার এমনটাই জানালেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সদ্য গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। সোমবার সকালে ইডি হেফাজত থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হুগলির যুবনেতাকে। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তাপসকে টাকা দিয়েছি, সেই প্রমাণ আমি সিবিআইকে দিয়েছি। তাপস ছাড়াও নীলাদ্রি ঘোষ আমার থেকে টাকা নিয়েছিল। সেই প্রমাণও দেওয়া হয়েছে।’’
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি প্রশান্ত মহাসাগরের মতো ‘ব্যাপক’— এমনই দাবি করেছিলেন ইডির আইনজীবী। যখন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু হয়েছিল, তখন সেই দুর্নীতি ভারত মহাসাগরের মতো বড় মনে হলেও এখন মনে হচ্ছে তা প্রশান্ত মহাসাগরের মতো বড়! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সদ্য গ্রেফতার হওয়া হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে আদালতে তোলার পর এমনটাই দাবি করছিলেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। পাশাপাশি দাবি করেন, তদন্তে নেমে ৩০ কোটির হদিস পাওয়া গিয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে একটি তথ্যসমৃদ্ধ ডায়েরি পাওয়া গিয়েছে বলেও ব্যাঙ্কশাল আদালতে জানিয়েছিলেন ইডির আইনজীবী। আদালতে ইডির আইনজীবী বলেছিলেন, ‘‘শুধু প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নয়, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। পুরো সিস্টেম দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। প্রথমে মনে হচ্ছিল এই দুর্নীতি ভারত মহাসাগরের মতো বড়। কিন্তু তাতে ডুব দিয়ে দেখছি দুর্নীতি প্রশান্ত মহাসাগরের মতো বড়। তাতে এখন আরও নাটকীয় মোড় এসেছে।’’
অন্য দিকে, কুন্তলের আইনজীবী সেলিম রহমানের বক্তব্য ছিল, ‘‘ইডির আইনজীবী প্রশান্ত মহাসাগরের মতো দুর্নীতির কথা বললেও দুর্নীতির ব্যাপ্তি পুকুরের মতোও নয়।’’ কুন্তলের কাছ থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি বলেও তিনি আদালতে জানান।