প্রতীকী ছবি।
বাঙালির আরামপ্রিয় অপবাদ নিয়ে যতই বিতর্ক থাক, কোলবালিশ যে তার অত্যন্ত প্রিয় সঙ্গী, সেই বিষয়ে বিশেষ দ্বিমত নেই। কিন্তু রাজ্যের সরকারি পর্যটন রিসর্টে বা বেসরকারি হোটেলে এমন সঙ্গী পাওয়া যায় না। সেই অভাব এত দিনে মিটতে চলেছে। রাজ্যের পর্যটন দফতর জানিয়েছে, পর্যটন নিগমের অধীন ৩২টি রিসর্টে এ বার কোলবালিশ দেওয়া হবে।
পর্যটন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমোতে পছন্দ করেন অনেকেই। পর্যটকদের একটু বেশি স্বাচ্ছন্দ্য দিতেই এই ভাবনা।’’ তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই পর্যটন রিসর্টগুলিতে কোলবালিশ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মূলত বাঙালি পর্যটকদের কথা ভেবেই বিপণনের এই নতুন কৌশল তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিবির। তবে দফতরের আশা, অন্য পর্যটকেরাও এই বাড়তি সুবিধা পেলে খুশি হবেন।
সরকারি রিসর্টে পাওয়া যাবে ফিজিয়োথেরাপির সুবিধাও। রিসর্ট সংলগ্ন এলাকায় ফিজিয়োথেরাপিস্টের সংখ্যা কত, যোগ্যতা কেমন— সব জানতে তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ চলছে। এই পরিষেবা এখনও চালু হয়নি। পর্যটন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি, রিসর্টে আসার ধকলে অনেকে শারীরিক যন্ত্রণা বোধ করেন। প্রবীণদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি। মূলত তাঁদের কথা ভেবেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
বঙ্গে পর্যটন-সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি পেশাদার পরামর্শদাতা সংস্থা সবিস্তার রিপোর্ট দেবে পর্যটন দফতরকে। তার ভিত্তিতে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে নতুন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যটন নিগমের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকা রিসর্টের সংখ্যা ৩২। সেখানে মানোন্নয়ন ও পরিষেবার আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কর্মচারীদের।