প্রতীকী ছবি
পছন্দের খাবারের ডেলিভারি হোক বা যানজটের ফাঁক গলে গন্তব্যে সওয়ারি পৌঁছে দেওয়া। আধুনিক যুগে লাফিয়ে বাড়ছে বাণিজ্যিক কাজে বাইকের চাহিদা এবং ব্যবহার। এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল রাখতে আইনে বদল আনছে রাজ্য সরকার। বাণিজ্যিক যানবাহনের তালিকায় দু’চাকার ট্যাক্সির নতুন অন্তর্ভুক্তি ঘটিয়ে করের আওতায় তাদের আনা হচ্ছে এ বার।
চুক্তির ভিত্তিতে বা অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হয় যে সব গাড়ি, তার মধ্যে এখন দু’চাকার যান নেই। আইন সংশোধন করে এ বার ‘বাইক ট্যাক্সি’র জন্য বিধি চালু করতে তৎপর হয়েছে পরিবহণ দফতর। বাইক ট্যাক্সির সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেওয়ার পাশাপাশিই তার উপরে কর বসানোর ব্যবস্থা করতে বিল আসছে বিধানসভায়।
বিধানসভার দফওয়াড়ি বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে কাল, শুক্রবার থেকে। এই অধিবেশনেই ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মোটর ভেহিকল্স ট্যাক্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২০’ পেশ হওয়ার কথা। যানবাহনের উপরে করের যে কাঠামো ১৯৭৯ সালের আইনে ছিল, তাতে সংশোধনী আনা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। কন্ট্রাক্ট ক্যারেজ হিসেবে বা নির্দিষ্ট পারমিট নিয়ে চালু দু’চাকার গাড়ির পাশাপাশি পণ্য সরবরাহ বা যে কোনও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলকেই ‘বাইক ট্যাক্সি’ হিসেবে গণ্য করার কথা বলা হয়েছে নতুন বিলে। বাইক ট্যাক্সির মোট মূল্যের ১.২% অথবা ৭৮০ টাকা— এর মধ্যে যেটা বেশি অঙ্কের হবে, সেটাই হবে করের পরিমাণ।
বিলে বলা হয়েছে, ‘বাইক ট্যাক্সির সংজ্ঞা নির্ধারণ করে আইনে তার অন্তর্ভুক্তি এবং কর বিন্যাসের প্রয়োজনে ১৯৭৯ সালের মোটর ভেহিকল্স কর আইন সংশোধন করা প্রয়োজনীয়’। আগামী সপ্তাহে পরিবহণ দফতরের বাজেট নিয়ে বিতর্কের দিনই এই বিল পেশ হয়ে এক ঘণ্টা আলোচনা হওয়ার কথা।
প্রথামাফিক শোকপ্রস্তাব হয়ে মুলতুবি হয়ে যাবে প্রথম দিনের অধিবেশন। তার পরে সোমবার থেকে দফতর ধরে ধরে বাজেট নিয়ে আলোচনা চলবে। বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা (বি এ) কমিটির বৈঠকে বুধবার যে প্রাথমিক সূচি ঠিক হয়েছে, সেই অনুযায়ী স্কুল শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা, সেচ ও জলপথ, কারিগরি শিক্ষা, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, প্রাণিসম্পদ বিকাশ, বন ও পরিবহণ দফতরের বাজেট-বিতর্ক হবে আগামী সপ্তাহে। পুরভোটের আগে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনার সম্ভাব্য দিন আগামী ১৮ মার্চ, বুধবার।