মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল সরকার। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠকে একাধিক পরিকাঠামোগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি কলেজে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হুগলি জেলার ফুরফুরা শরিফ গ্রামীণ হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ত্রিশ থেকে বাড়িয়ে একশো করা হয়েছে। রাজ্যের ৬টি মেডিক্যাল কলেজে মোট ১০২ জন অধ্যাপক নিয়োগ করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। এই মেডিক্যাল কলেজগুলি হল উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ, বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, তাম্রলিপ্ত, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি এবং আরামবাগ প্রফুল্লচন্দ্র সেন মেডিক্যাল কলেজ। এ ছাড়াও এই মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এগারো জন সহযোগী অধ্যাপক, ১২০ জন সহকারী অধ্যাপক, ১৪২ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট নিয়োগ করা হবে।
এ দিন নবান্নে হওয়া এই বৈঠকে রাজ্যের জমি সংক্রান্ত আইনে বদল আনার বিষয়ে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে। এত দিন বিভিন্ন সংস্থাকে শিল্পস্থাপনের জন্য ৯৯ বছরের চুক্তিতে জমি দিত সরকার। কিন্তু সরকারের কাছে এই মর্মে অভিযোগ জমে পড়ছিল যে, অনেক সংস্থাই জমিগুলিতে শিল্পস্থাপন না করে সেগুলি ফেলে রাখছে। এই পরিত্যক্ত জমিগুলিকে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এর ফলে সরকারের রাজস্বের পরিমাণ বাড়বে বলে মনে করছে প্রশাসনের একটি অংশ।
মন্ত্রিসভার বৈঠক সেরেই আউটরাম ঘাটে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে যাওয়া পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন তিনি। তাঁর সরকারের আমলে গঙ্গাসাগরে কী কী সংস্কারকাজ হয়েছে তার বর্ণনা দেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানান, খুব শীঘ্রই বাবুঘাটে গঙ্গারতি শুরু করবে কলকাতা পুরসভা। ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিন থেকেই গঙ্গারতি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।