—ফাইল চিত্র।
তদন্তকারী অফিসারের ঘাটতি মেটাতে সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই) স্তরের শূন্য পদে নিয়োগ শুরু করছে রাজ্য। নবান্ন সূত্রের খবর, এসআইয়ের ১৫২৫টি পদের সঙ্গে সঙ্গে ৫৩০০টি পদে কনস্টেবলও নিয়োগ করবে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। বর্তমানে ১৬০০ এসআই-পদ ফাঁকা রয়েছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই নিয়োগ পরীক্ষার জন্য সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে সাব-ইনস্পেক্টর নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে এক পুলিশকর্তার দাবি।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত এক লক্ষ সাত হাজার পুলিশকর্মী থাকার কথা। কিন্তু এখন পুলিশকর্মী আছেন ৭৫ হাজারের সামান্য বেশি। শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলাতেও এই তথ্য উঠে এসেছে। ৪৮টি রেল পুলিশ থানা, ছ’টি উপকূলীয় থানা এবং ১০টি মহিলা থানা মিলিয়ে রাজ্যে পাঁচ শতাধিক থানা রয়েছে। তার উপরে গত কয়েক বছরে তৈরি হয়েছে পাঁচটি কমিশনারেট। কিন্তু দায়িত্ব বাড়লেও কর্মী-সংখ্যা যথেষ্ট নয়।
পুলিশকর্তারা জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে ডাকাতি, ধর্ষণ, খুন, চুরি-সহ বেশির ভাগ গুরুতর অপরাধের তদন্তের ভার থাকে এসআই-দের উপরে। এমনকি গ্রামাঞ্চলে অনেক থানার ওসি-পদেও রাখা হয় এসআই-দের। তদন্তের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলাও সামলাতে হয় তাঁদের। এর সঙ্গে রয়েছে রেল পুলিশ এবং অন্যান্য শাখার দায়িত্বও।
পুলিশকর্তাদের মতে, প্রচুর পদ ফাঁকা থাকায় বিভিন্ন থানায় কর্মরত এসআই-দের উপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। তদন্ত শেষ করতেও দেরি হচ্ছে। একই ভাবে আইনশৃঙ্খলাজনিত দায়িত্ব সামলানোর জন্যও পর্যাপ্ত কনস্টেবল প্রয়োজন। তবে এত দিন নিয়োগ না-করে ভোটের আগে নিয়োগ কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে।