বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক চায় রাজ্য 

এই পরিস্থিতিতে শিল্প মহলের মন বুঝতে বণিকসভাগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে চায় রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ১১:৩০
Share:

—প্রতীকী চিত্র

দেশের আর্থিক পরিস্থিতি শিল্প বা বিনিয়োগের অনুকূল নয়। এ রাজ্যের শিল্পে বিনিয়োগ নিয়েও বিরোধীদের নানান অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিল্প মহলের মন বুঝতে বণিকসভাগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে চায় রাজ্য সরকার। প্রশাসনের খবর, ওই বৈঠকে শিল্পসচিব বন্দনা যাদবের সঙ্গে মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ থাকতে পারেন। তবে বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

Advertisement

সম্প্রতি বন্দনাকে শিল্প দফতরের সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে শিল্প ক্ষেত্রে তিনি নতুন নন। বন্দনা এত দিন রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের শীর্ষ পদের দায়িত্ব সামলেছেন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পসচিব থাকার সময় শিল্প দফতরেও কাজ করেছেন তিনি। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়,

‘‘আগে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বণিকসভাগুলির সঙ্গে আলোচনা হত। ফের সেই কাজ শুরু হবে। সম্ভাব্য বৈঠকে মুখ্যসচিবের সঙ্গে শিল্পসচিবও থাকবেন। ভবিষ্যতে সরকারের তরফে বণিকসভাগুলির সঙ্গে সমন্বয় করতে তাঁর সুবিধাও হবে।’’

Advertisement

প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকের মতে, প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের স্বার্থে অতীতে শিল্পপতি এবং প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। শিল্প এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে কী পদক্ষেপ করা যায় এবং কোথাও সমস্যা বা জট তৈরি হলে তার সমাধান নিয়েও নিয়মিত বৈঠক করত কমিটি। সরকারকে প্রয়োজনীয় সুপারিশও করা হত। কিন্তু প্রশাসনিক কর্তাদের বক্তব্য, গোটা দেশের সাম্প্রতিক আর্থিক পরিস্থিতি মোটেই শিল্পের প্রতি অনুকূল নয়। তা ছাড়া পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) নিয়েও নানা সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে শিল্প মহলের সঙ্গে বৈঠক ফের চালু করার প্রয়োজন রয়েছে। তার আগে আমলাদের সঙ্গে বণিকসভার বৈঠক জরুরি।

রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘শিল্প মহলের উপর সব দিক থেকে ভীষণ চাপ তৈরি হয়েছে। তবুও শিল্পপতি এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে যথাসম্ভব চেষ্টা করছি। ফলে শিল্প মহল সরকারের থেকে কী চায়, বিনিয়োগ-পরিবেশ আরও ভাল করতে এবং চালু বাণিজ্য বাধাহীন ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁদের কী পরামর্শ, তা জানা জরুরি।’’

শিল্পবান্ধব সুবিধা দেওয়া বা ‘ইজ় অব ডুইং বিজনেসে’ এ রাজ্যের সাফল্য দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে। দেশের সাম্প্রতিক আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যেও ডেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি এবং তাজপুর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে বণিকসভাগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন নবান্নের শীর্ষকর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement