—প্রতীকী ছবি
প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় টেট-এর ইন্টারভিউ দিতে চেয়ে যাঁরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন, তাঁদের আবেদনপত্র অফলাইনে জমা দেওয়ার সময় ৮ জানুয়ারি, শুক্রবার রাত ১২টাতেই শেষ হয়েছে। তাঁদের আবেদনপত্র সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য শনিবার জানান। তিনি জানান, টেট-এর সাধারণ প্রার্থী, যাঁরা কোনও কারণে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারেননি, টেট-এর ইন্টারভিউয়ের জন্য শুধু তাঁদেরই (চার শর্ত পূরণ করতে পারলে) আবেদনপত্র অফলাইনে নেওয়া হচ্ছে ৯ এবং ১০ জানুয়ারি। আজ, রবিবার, ১০ জানুয়ারি টেট-এর ইন্টারভিউ শুরু হচ্ছে। চলবে ১৭ তারিখ পর্যন্ত।
শনিবার সকাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের ভিড় হতে থাকে। তাঁদের অনেকেই অভিযোগ করেন, অফ লাইনে ৯ এবং ১০ তারিখ আবেদনপত্র নেওয়ার কথা পর্ষদ জানালেও পর্ষদ অফিসে তা জমা নেওয়া হচ্ছে না। মানিকবাবু বলেন, “আবেদনপত্র জমা নিচ্ছেন না বলে যাঁরা দাবি করছিলেন, তাঁদের অনেকেই ওই মামলাকারী প্রার্থী। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের আবেদনপত্র নেওয়ার তারিখ ৮ জানুয়ারি রাত ১২টার পরেই শেষ হয়ে হয়ে গিয়েছে। ফলে আমরা এমন কোনও আবেদনপত্র আর গ্রহণ করিনি।”
তবে যে সাধারণ প্রার্থীরা টেট-এর আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করতে পারেননি, তাঁদের আবেদনপত্র অফলাইনে গ্রহণ করা হবে বলে পর্ষদ জানালেও তেমন কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, পর্ষদ অফিসে তাঁদের আবেদনপত্রও প্রথমে নেওয়া হচ্ছিল না। পরে অবশ্য নেওয়া হয়। এমনই এক চাকরিপ্রার্থী তনুশ্রী ভট্টাচার্যের স্বামী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রযুক্তিগত কারণে আমার স্ত্রীর প্রামাণ্য নথি পাইনি।” মানিকবাবু জানিয়েছেন, শুধু আবেদনপত্রই জমা নেওয়া হবে। কোনও নথি দেওয়া হবে না। অফলাইনে যাঁদের আবেদনপত্র নেওয়া হচ্ছে, তাঁরা যোগ্য প্রার্থী বলে বিবেচিত হলে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে।
তবে মানিকবাবু আবারও জানিয়েছেন, যাঁরা অনলাইনে আবেদন করতে পারেননি, তাঁদের সবার আবেদনপত্র গৃহীত হবে না। যে সব প্রার্থী ২০১৪ সালের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট পাশ করেছেন, স্নাতকে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন, বিএড প্রশিক্ষিত এবং ৪০ বছরের বেশি বয়সি নন, তাঁরা কোনও কারণে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে না পারলে, তাঁদের আবেদনপত্র ৯ এবং ১০ জানুয়ারি অফলাইনে পর্ষদ অফিসে জমা নেওয়া হচ্ছে।