West Bengal News

তৃতীয় দিনে অশান্তি কিছুটা কম, রাজ্য জুড়ে ধরপাকড়, গ্রেফতার ৩৫০

মহিষাদল, নন্দকুমার, হলদিয়া এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:৩৭
Share:

হাওড়ার বাঁকড়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই

নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে ছড়়ানো হিংসার ঘটনায় সোমবার সন্ধে পর্যন্ত ৩৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানাল রাজ্য পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়, হিংসায় যারা যুক্ত ছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। রবিবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের বাড়িতে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে ডিজি-সহ পুলিশ কর্তাদের দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই রবিবার রাতভর জেলায় জেলায় অভিযান চলে এবং সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাড়ে তিনশো অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা জানাল রাজ্য পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া অশান্তি রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় লাগামছাড়া আকার নেয়। রেল স্টেশনে, ট্রেনের রেকে পর পর আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধ, বিক্ষোভ আন্দোলন বজায় থাকলেও বড় কোনও অশান্তির খবর আসেনি। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় কয়েকটি জায়গায় ট্রেনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তবে অন্য তিন দিনের মতো অগ্নিসংযোগ বা স্টেশনে হামলার ঘটনা ঘটেনি সোমবার।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গত তিন দিন কোনও বড় ধরনের বিক্ষোভ না হলেও এ দিন সকাল থেকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয় জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। মহিষাদল, নন্দকুমার, হলদিয়া এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় পরিবহণ ব্যবস্থা। একই ভাবে দীর্ঘ ক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল দীঘাগামী সড়কে। গত কয়েক দিন মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় দফায় দফায় অশান্তি ছড়ানোর পর এ দিন ওই দুই জেলাই ছিল শান্ত। নতুন করে কোনও বড় হিংসার ঘটনা ঘটেনি। তবে এ দিনও বীরভূমের মুরারইতে রাস্তা এবং রেললাইন অবরোধ হয়ে দীর্ঘ ক্ষণ। অভিযোগ, ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয় বিক্ষোভকারীদের জমায়েত থেকে।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা-আওয়ালসিদ্ধি এলাকায় শনিবার ও রবিবার যেখানে বিক্ষোভ হয়েছিল, সেই এলাকাগুলিও শান্ত। নতুন করে বিক্ষোভ ছড়ায়নি বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা দাবি করেন, এ দিন মালদহের কয়েকটি জায়গায়, মূলত সামসি এবং কালিয়াচকে অশান্তির সম্ভবনা ছিল। কিন্তু আগে থাকতে খবর পেয়ে পুলিশ অশান্তি ছড়ানোর আগেই পদক্ষেপ করে। ফলে ওই দুই জায়গায় গন্ডগোল এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ঠিক একই ভাবে রাতভর অশান্তির সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলায় সোমবার গোটা রাজ্যে বড় কোনও গন্ডগোল হয়নি।

সোমবারও কলকাতায় বিআর অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশ থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত পদযাত্রার সময় মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বার্তা দেন যে কোনও রকম অশান্তি পুলিশ বরদাস্ত করবে না। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘লাগাতার তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement