Weed Farms Destroyed

হাজার একরের মাদক চাষ নষ্ট বঙ্গের পুলিশের

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, মাদক চক্রের চাঁইরা কৃষকদের মোটা টাকার টোপ দিয়ে এই চাষে নিয়োগ করছেন। পোস্ত মূলত রুক্ষ এলাকায় ভাল চাষ হয়।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৫ ০৯:২১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

প্রচার কিংবা ধরপাকড়, কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না গাঁজা এবং পোস্তর চাষ। গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যেই পুলিশি অভিযানের তথ্য সে কথাই কার্যত বলছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্য পুলিশ বিভিন্ন জেলায় সাতশো একর জমিতে চাষ হওয়া গাঁজা গাছ এবং তিনশো একরের বেশি জমিতে চাষ হওয়া পোস্ত গাছ নষ্ট করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়েই এই অভিযান চালানো হয়েছিল। আরও বিভিন্ন এলাকায় এমন অভিযান চালানো হবে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। তবে এই অভিযানের পরেও এই বেআইনি চাষ পুরোপুরি বন্ধ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে পুলিশের অন্দরেই।

পুলিশ সূত্রের খবর, গাঁজা পাতা তো আছেই। তার সঙ্গে জুড়েছে পোস্ত চাষ। বাঙালি রান্নায় পোস্ত ফলের বীজ (চলতি কথায় যাকে পোস্ত বলেই চেনে আমজনতা) ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এখানে তার চাষ নিষিদ্ধ। কারণ, পোস্ত গাছের আঠা থেকে আফিম তৈরি হয় এবং অন্যান্য মাদকের কাঁচা মাল পাওয়া যায়। এ বছর বাঁকুড়া, কোচবিহার,বীরভূমে সব থেকে বেশি গাঁজা এবং পোস্ত গাছ নষ্ট করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ড্রোন উড়িয়ে প্রথমে মাদক চাষের জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপর সেই অনুযায়ী অভিযান চালানো হয়।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, মাদক চক্রের চাঁইরা কৃষকদের মোটা টাকার টোপ দিয়ে এই চাষে নিয়োগ করছেন। পোস্ত মূলত রুক্ষ এলাকায় ভাল চাষ হয়। রুক্ষ এলাকার জমিতে সাধারণত চাষিদের অন্যান্য ফসলের ফলন না-হওয়ায় তাঁরা সহজে এই চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছেন বলেও মনে করছে গোয়েন্দাদের একাংশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, পোস্ত বা গাঁজা চাষ রুখতে কেন্দ্রীয় মাদক দমন সংস্থা বা নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে রাজ্য পুলিশকে জানায়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট এলাকার উপরে ড্রোন উড়িয়ে আরও নিখুঁত তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, রুক্ষ জনহীন এলাকা বা নদীর চরে এই বেআইনি চাষ হচ্ছে। তাই লোক মারফত খবর মিলছে না।

রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, মাদক চক্রে বাংলা এবং ঝাড়খণ্ডের যোগসূত্রও তৈরি হয়েছে। এ রাজ্য়ে গাঁজা এবং পোস্ত চাষে পুলিশি কড়াকড়ি বাড়লে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় নজরদারির ফাঁক গলে এই চাষ চলছে। তারপর কাঁচামাল পাচার করা হচ্ছে এ রাজ্যে। বিভিন্ন গোপন আস্তানায় সেই কাঁচামাল থেকে মাদক তৈরি হচ্ছে। অতীতে তেমন চক্রের হদিসও পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement