ভারতী ঘোষ। ফাইল চিত্র।
নির্দিষ্ট সময় ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে পারেনি সিআইডি। শুক্রবার ৯১তম দিনে ঘাটাল আদালতে হাজির থাকলেন না সরকারি আইনজীবী। দাসপুর সোনা প্রতারণা মামলায় এসিজেএম লীনা গোলদার দুই পুলিশ অফিসারের জামিন মঞ্জুর করলেন।
ঘাটাল থানার প্রাক্তন ওসি চিত্ত পাল এবং প্রাক্তন সিআই শুভঙ্কর দে পুলিশ মহলে প্রাক্তন পুলিশকর্তা ভারতী ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, চার্জশিট জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা। সে ক্ষেত্রে বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে— এ কথা আঁচ করেই সম্ভবত গরহাজির ছিলেন সরকারি আইনজীবী। দুই পুলিশ অফিসারের আইনজীবী তপন রায় বিচারকের কাছে বলেন, ‘‘আমার দুই মক্কেল নিরপরাধ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে দু’জনই হেফাজতে আছেন। পুলিশ চার্জশিট দেয়নি। তাই তাঁরা জামিন পাওয়ার অধিকারী।” বিচারক দু’জনেরই জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেন। সিআইডির এক কর্তা বলেন, ‘‘ভারতী ঘোষ অধরা। তাই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। চার্জশিট জমা দেওয়া যায়নি।’’ গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই পুলিশ অফিসারকে সিআইডি গ্রেফতার করেছিল।