প্রতীকী ছবি।
ভোটের দিন নিয়ে প্রাথমিক টালবাহানায় মুরগির দানাপানি এখন চিন্তা ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকদের। গাঁ-গঞ্জে ডিমের উত্পাদন বাড়াতে সরকারি ভাবে মুরগি ছানা বিলি করা হয়। সেই মতো পশ্চিম মেদিনীপুরের ব্লকে ব্লকে পৌঁছেছে ছানারা। কিন্তু ভোটের জন্য তা আর বিলি হয়নি। স্থানীয় খামারে তাদের দানাপানি খাওয়াতে নাজেহাল প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। জেলার এক বিডিও-র কথায়, “একে ভোটের এত কাজ। তার উপর মুরগির দেখভাল। কোনটা সামলাব!’’
পশ্চিম মেদিনীপুরে ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার ২০০টি মুরগি ছানা বিলি হওয়ার কথা। এপ্রিলে প্রথম পর্যায়ে সেগুলি বিলির কথা ছিল। কিন্তু ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় তা হয়নি। অথচ জেলার বড় খামার থেকে মুরগি ছানা পৌঁছে গিয়েছে ব্লকে ব্লকে। যেমন খড়্গপুর-২ ব্লকে ৪ হাজার ছানা পৌঁছেছে। এক প্রাণিসম্পদ আধিকারিক জানান, স্থানীয় খামারে এক মাসের বেশি ছানাগুলো রয়েছে। ওদের খাওয়াতে বিস্তর খরচও হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দফতরের এক সূত্রের খবর, এক-একটি মুরগি ছানা দিনে গড়ে ৬০ গ্রাম করে দানা খায়। এক কেজি দানার দাম ২৮ টাকা। অর্থাৎ ৪ হাজার মুরগি ছানাকে খাওয়াতে দিনে লাগবে ২৪০ কেজি দানা, যার খরচ ৬,৭২০ টাকা। এক মাসে খরচ প্রায় ২ লক্ষ টাকা। জেলার একটি ব্লকের এক খামার মালিকের কথায়, “এক মাস ছানাগুলো রয়েছে। কবে বিলি হবে কিছুই জানানো হচ্ছে না। সরকার ২৮ দিনের হিসেবে খাওয়ার খরচ দেয়। বাড়তি খরচ কোথা থেকে পাব?”
প্রাণিসম্পদ দফতরের তরফে নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কমিশন জানিয়েছে, তালিকায় নাম থাকা উপভোক্তাদের মুরগি ছানা বিলিতে আপত্তি নেই।’’ সেই মতো নতুন নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে ব্লকে ব্লকে। প্রাণিসম্পদ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর তুষারকান্তি সামন্তের কথায়, ‘‘দ্রুত মুরগি ছানা বিলির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”