তফসিলি, জনজাতি স্কুলছুট সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ

সর্বশিক্ষা মিশনের রিপোর্ট (২০১৬-১৭) অনুযায়ী গত দু’বছরে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে এসসি ও এসটিদের স্কুলছুটের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিনামূল্যে বই, খাতা, সাইকেল থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার পরেও সাধারণ স্কুল ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে (এমএসকে) তফসিলি জাতি (এসসি) ও জনজাতি (এসটি)-দের স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশিক্ষা মিশনের রিপোর্ট (২০১৬-১৭) অনুযায়ী গত দু’বছরে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে এসসি ও এসটিদের স্কুলছুটের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।

Advertisement

প্রশ্ন উঠছে জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্প চালু করার পরেও স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে কেন? বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘শুধু মাত্র দান খয়রাতি করে স্কুলের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করা যায় না। আশা করি সরকার সেটা বুঝতে পারবে। এর জন্য চাই সচেতনতা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নতি।’’

রাজ্য সরকার অবশ্য কেন্দ্র ও রাজ্যের পূর্বতন সরকারের উপরে দায় চাপিয়েছে। এমএসকে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের অধীন। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাম আমলে দলীয় কর্মীদের নিয়োগ করেছে তৎকালীন সরকার। ফলে ওই সমস্ত স্কুলের মান একেবারেই ভাল নয়। তাই অনেক অভিভাবকেরা ওই স্কুলে পড়াতে চাইছেন না। ওই সমস্ত শিক্ষকেরা অবসর না নেওয়া পর্যন্ত কিছু করা যাচ্ছে না। কেন্দ্র যে সামান্য টাকা দেয় তার মধ্যেও সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না।’’

Advertisement

এমএসকে-র শিক্ষক সংগঠন মাধ্যমিক শিক্ষা সম্প্রসারক সমন্বয় সমিতির সম্পাদক পরিতোষ ঘোষালের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্র বলে রাজ্যের দায়িত্ব, রাজ্য বলে কেন্দ্রের। হাতে গোনা শিক্ষকদের নিয়ে এই সব কেন্দ্র চলছে। তার ফলে যেটা হওয়ার সেটাই হয়।’’ তবে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, কাজ শুরু হয়েছে। ফল পেতে ধৈর্য রাখতে হবে। অভিভাবকদের সচেতন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement