নিহত: সিউড়ির ১ নম্বর ব্লকের কড়িধ্যায় গুলি খেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেন দিলদার খান। সোমবার। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
সিউড়ির দিলদার খানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। তার মধ্যেই এ বার তদন্তকারী আধিকারিক বদলের ঘটনা ঘটল।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতেই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সাব ইন্সপেক্টর সৌম্য দত্তকে সরিয়ে তার জায়গায় তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিউড়ি থানার আইসি দেবাশিস পান্ডাকে। কেন হঠাৎ তদন্তকারী অফিসারকে বদলাতে হল, তা নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমারের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে জেলা পুলিশ কর্তাদের দাবি, তদন্তের গতি বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।
সোমবার মনোনয়নের বাড়তি দিনে ভাইয়ের স্ত্রী-র সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে কড়িধ্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন স্থানীয় ছোড়া গ্রামের ভাটিপাড়ার বাসিন্দা দিলদার খান। নিহত কোন দলের সমর্থক, ঘটনার পরই তা নিয়ে চাপানউতোরে জড়ায় বিজেপি এবং তৃণমূল। সামান্য সময়ের ব্যবধানে দু’পক্ষের দাবিকেই সমর্থন জানিয়েছিল পরিবার। তবে নিজেদের অবস্থান বদলে ওই দিন বিকেলে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসে নিহতের স্ত্রী লুৎফা বিবি এবং বাবা তহিদ খানেরা জানিয়ে দেন বিজেপি নয়, দিলদার ছিলেন তৃণমূল কর্মী। অভিযোগও হয় বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। বিজেপির দাবি, ধৃতেরা তাদের সক্রিয় কর্মী। রাজনৈতিক কারণে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে।
এই আবহে তদন্তকারী আধিকারিক পাল্টে যাওয়ায় অন্য সমীকরণ দেখছে বিজেপি। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, ‘‘শাসকদলের তৎপরতায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পাল্টে গিয়েছিল নিহতের রাজনৈতিক পরিচয়। তদন্তকারী অফিসার বদল তারই এক ধাপ এগোনো। হয়তো বিজেপির নেতাকর্মীদের বাছাই করে তুলতে দেরি করছিলেন ওই আধিকারিক।’’ এই ঘটনায় তৃণমূল কেউ প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।