বাড়ন্ত উত্তরীয়, পর্দায় নিয়মরক্ষা

সমাবর্তনের আগের মুহূর্ত পর্যন্তও টানাটানি ছিল বিশেষ হলুদ উত্তরীয় নিয়ে। প্রথম দিকে যেটুকু মজুত ছিল, তা বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরপরই বিক্রি হয়ে যায়। কার্যত বাড়ন্ত হয়ে পড়ে বিশেষ ওই উত্তরীয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৮ ০২:৫১
Share:

সমাবর্তনের আগের মুহূর্ত পর্যন্তও টানাটানি ছিল বিশেষ হলুদ উত্তরীয় নিয়ে। প্রথম দিকে যেটুকু মজুত ছিল, তা বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরপরই বিক্রি হয়ে যায়। কার্যত বাড়ন্ত হয়ে পড়ে বিশেষ ওই উত্তরীয়।

Advertisement

বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য অনুযায়ী, সমাবর্তন প্রাপক ছাত্রদের সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে সাদা ধুতি বা পায়জামা এবং ছাত্রীদের সাদা শাড়ি পড়তে হয়। সঙ্গে অবশ্যই নিতে হয় তাঁতিদের হাতে তৈরি হলুদ উত্তরীয়। সেই উত্তরীয় কিনতে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বিশ্বভারতী সমবায় সমিতিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সমবায় সূত্রের খবর, এক জন তাঁতশিল্পী অনেক পরিশ্রম করে দিনে ১৮-২০টি উত্তরীয় তৈরি করতে পারেন। সমবায়ের নিজস্ব তাঁতি রয়েছেন ছ’জন। সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে এখন আর তাঁতশিল্পী পাওয়া যায় না, কারণ বেশির ভাগই একশো দিনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবুও প্রায় তিন হাজার উত্তরীয় জোগান দেওয়া গিয়েছিল। বাকিটা ওই একই রংয়ের তাঁতের পর্দা বা বেডকভার মোটামুটি মাপে কেটে বিক্রি করতে হয়। শুক্রবার তা নিয়েই নিয়মরক্ষা করেন অনেক পড়ুয়া।

বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, বেশ কিছু ভবন থেকেও সমাবর্তনে হলুদ উত্তরীয় পড়তে হবে— এমন নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। এমন আবহে সমবায় খুলতেই উত্তরীয় কেনার লাইন পড়ে। বিশ্বভারতী সমবায় সমিতির সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলছেন, ‘‘আগের সমাবর্তনে প্রায় আড়াই হাজার উত্তরীয় লেগেছিল। এ বছর বেশি লাগবে ভেবে দু’মাস আগে তাঁতশিল্পীদের পাঁচ হাজার উত্তরীয় করতে বলা হয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement