বারাসত স্টেশনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
বামেদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে তেমন কোনও প্রভাব পড়ল না রাজ্যে। স্বাভাবিক রয়েছে কলকাতার জনজীবন। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের কোনও কোনও অঞ্চল থেকে বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর সামনে এসেছে। সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে এই ধর্মঘট। তবে বন্ধ উপেক্ষা করেই অন্যান্য দিনের মতোই রাস্তায় বেরিয়েছেন মানুষ। স্বাভাবিক রয়েছে পরিবহণ ব্যবস্থাও।
শুক্রবার বন্ধের সকাল থেকেই কলকাতার জনজীবন ছিল প্রায় স্বাভাবিক। যাদবপুর, হাজরা, শ্যামবাজারে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ধর্মতলা, রুবি মোড়-সহ শহরের নানা জায়গায় চলছে বাস, ট্রাম। মিলছে ট্যাক্সিও। সকাল থেকেই রাস্তায় নেমেছে প্রচুর সরকারি বাস। প্রতিদিনের মতোই কাজে বেরিয়েছেন সাধারণ মানুষ। স্কুল-কলেজও খোলা রয়েছে।
বাকি দিনগুলোর মতোই সচল রয়েছে বিমান পরিষেবা। রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে কিছুটা দেরিতে চলছে দূরপাল্লার ট্রেন। লোকাল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাস্তায় পুলিশ পিকেট, ৬ ঘণ্টার ধর্মঘট রুখতে সর্বশক্তি সরকারের
কোর্টের স্থগিতাদেশ, ১ মে ভোট হবে কি, জল্পনা তুঙ্গে
ডায়মন্ড হারবার রোডে বামেদের মিছিল। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।
তবে কলকাতার জনজীবন স্বাভাবিক হলেও বিক্ষিপ্ত গোলমালের খবর এসেছে কয়েকটি জেলা থেকে। সকাল সাড় ৮টা নাগাদ হাওড়ার দাশনগরে বামেদের মিছিল ঘিরে কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায়। মিছিল আটকাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় মিছিলকারীদের। প্রতিবাদে কিছুক্ষণ হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। উত্তেজনা ছড়িয়েছে, যশোর রোড, বারাসতের চাঁপাডালি মোড়েও। গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে দুর্গাপুর থেকেও।
পঞ্চায়েত ভোটে ক্রমবর্ধমান হিংসা ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজ্যে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বামফ্রন্ট ও সহযোগী দলগুলি। তবে সেই ধর্মঘটকে ব্যর্থ করতে করতে বৃহস্পতিবার থেকেই রীতিমতো কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার।
অশান্তি রুখতে রাস্তায় আগাম বসেছে পুলিশ পিকেট, সতর্ক করা হয়েছে রেল পুলিশকেও। পাশাপাশি, সরকারি কর্মচারীদের গরহাজিরায় বেতন কাটার নির্দেশও জারি করেছে নবান্ন।