শো-কজ বা কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব দিয়েছেন তিনি। তাতে শিক্ষক-নিগ্রহের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে দু’বছর বহিষ্কারের শাস্তি দেওয়ার পরে ছাত্রনেতা গৌরব দত্ত মুস্তাফির অভিযোগ, তদন্ত ছাড়াই তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। গৌরবের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষক-নিগ্রহের অভিযোগ সত্য নয়।
এই অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করার জন্য বুধবার উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন গৌরব।
টিএমসিপি নেতা গৌরব ৬ ফেব্রুয়ারি রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক ভাস্কর দাসকে চড়থাপ্পড় মেরেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রকে শো-কজ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, শো-কজের জবাবে গৌরব ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। তার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাঁকে দু’বছরের জন্য বহিষ্কার করে।
কিন্তু গৌরব এ দিন জানান, তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষক-নিগ্রহের অভিযোগ সত্য নয়। শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ ওঠার পরে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। অথচ কোনও তদন্ত ছাড়াই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ওই ছাত্রনেতার বক্তব্য, ভাস্করবাবু তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই মামলা চলছে। এর মধ্যে কোনও রকম তদন্ত ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করলেন কী ভাবে, প্রশ্ন তুলেছেন গৌরব। তাঁর আবেদন, কর্তৃপক্ষ শাস্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন। এই বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য উপাচার্যকে বারবার ফোন এবং মেসেজ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর সাড়া মেলেনি।