প্রতীকী ছবি।
জয়নগরের গ্রামে মহিলাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় পুলিশ আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করল। শনিবার চালতাবেড়িয়ার গাজিপাড়া থেকে মোতালেক গায়েন, সোহরাব গাজি, সাহাদালি জমাদার, আরাফত গাজিকে ধরা হয়। শুক্রবার রাতে ধৃত দু’জনকে শনিবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক সকলকে চার দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
কেন গুলি চলল গ্রামে? স্থানীয় সূত্রের খবর, চালতাবেড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের প্রার্থী সাইফুল জমাদারের সঙ্গে দলেরই নেতা নজরুল গাজির গোলমাল চলছিল কিছু দিন ধরে। নজরুল সিপিএম করতেন। মাস দু’য়েক আগে যান তৃণমূলে। দলের টিকিট না পেয়ে ‘নির্দল’ হয়ে লড়ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সাইফুলের লোকের উপরে দুষ্কৃতীরা বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালায়। সে সময়ে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিলেন সেলিমা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। নিহত সেলিমা গাজির স্বামী লিয়াকত নজরুল-সহ ১২ জনের নামে অভিযোগ করেছেন থানায়। ৬ জন ধরা পড়েছে।
সাইফুল বারুইপুর পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। নজরুলও শ্যামসুন্দরের হাত ধরেই তৃণমূলে ঢুকেছেন বলে দলের অন্দরের খবর। তা হলে গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই কি উত্তপ্ত হল গ্রাম?
শ্যামসুন্দর সে কথা মানছেন না। তিনি বলেন, ‘‘এটা গোষ্ঠীকোন্দল নয়। যিনি খুন হয়েছেন, তিনি আমাদের দলের সমর্থক। যারা হামলা চালিয়েছে, তারা দুষ্কৃতী। তৃণমূলের কেউ নয়।’’ এ দিকে, ঘটনার পরে পুলিশ গ্রামে ঢুকে তল্লাশির নামে অভিযুক্তদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘এমন কিছু আমার জানা নেই।’’