ভাগাড় শায়েস্তায় কমিটি মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যসচিবকে মাথায় সাত সদস্যের কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৮ ০৫:০৯
Share:

ফাইল চিত্র।

মুরগি-মাটন নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে। মাছি তাড়াচ্ছে নামী রেস্তরাঁও। ভাগাড়ের পচা মাংসের ঢালাও ব্যবসা নিয়ে অবশেষে টনক নড়ল নবান্নের। মুখ্যসচিবকে মাথায় সাত সদস্যের কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভাগাড়-কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে না-হয়, তার রূপরেখা তৈরি করতে হবে অবিলম্বে। এই কাজের জন্য মুখ্যসচিব মলয় দে-র নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়তে বলেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য, রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার ছাড়াও ওই কমিটিতে থাকবেন পুর ও নগরোন্নয়ন, প্রাণিসম্পদ, খাদ্য ও সরবরাহ এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিবেরা।

বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভাগাড় নিয়ে ভয়ে মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন অনেকে। আমরা চাই, একটা পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি তৈরি হোক, যাতে ভাগাড়-সমস্যা বন্ধ হয় এবং মানুষও যাতে খাবারের স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরে আসতে পারেন নিজের রুচি অনুযায়ী।’’

Advertisement

এই পদ্ধতি তৈরি হয়ে গেলে মানুষকে জানানো হবে, নির্ভয়ে মাংস খাওয়া যেতে পারে। ‘‘এটা শুধু বাংলায় সীমাবদ্ধ ছিল না। বাংলার বাইরেও এর (ভাগাড়-মাংস ব্যবসার) যোগ ছিল। পুলিশ খুব ভাল কাজ করেছে। ধরা পড়েছে অনেকে। মুরগির যে-সমস্যা ছিল, তা-ও মিটে গিয়েছে,’’ বলেন মমতা।

নবান্নের খবর, বৃহস্পতিবার কমিটির বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যসচিব। প্রাণিসম্পদ দফতর কয়েকটি ভাগাড়ে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর কথা ভাবছে। দফতরের এক কর্তা জানান, ভাগাড়-কাণ্ডের আগে থেকেই তাঁরা ওই চুল্লি কথা ভাবছিলেন। হঠাৎই ভাগাড়ের পচা মাংসের ব্যবসা ধরা পড়ায় বিষয়টির গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement