প্রতীকী ছবি।
কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগ্জামিনেশন বা সিআইএসসিই অনুমোদিত স্কুলগুলি চলছে বছর দশেক আগেকার নিরাপত্তা-নির্দেশিকার ভিত্তিতে। চলতি মাসেই তাঁরা বোর্ডের ওয়েবসাইটে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করবেন বলে মঙ্গলবার জানান কাউন্সিলের সচিব জেরি অ্যারাথুন।
সচিব বলেন, ‘‘নতুন নিরাপত্তা-নির্দেশিকার মূল লক্ষ্যই হল পড়ুয়াদের সর্বোচ্চ মাত্রার সুরক্ষা দেওয়া। স্কুলের পরিবেশকে কী ভাবে সব দিক থেকে নিরাপদ রাখতে হবে, ওই নির্দেশিকায় তার সবিস্তার ব্যাখ্যা থাকবে।’’ ওই নির্দেশিকায় কী কী থাকবে, এ দিন সেটাও জানিয়েছেন সচিব।
গত সেপ্টেম্বরে কাউন্সিলের অধীন দেশের প্রায় আড়াই হাজার স্কুলকে নিরাপত্তা বিষয়ে সমীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট যাচাই করে তৈরি হয়েছে নতুন ‘সেফটি ম্যানুয়াল’ বা নিরাপত্তা নির্দেশিকা। জিডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশন-সহ বিভিন্ন স্কুলে অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ ওঠার পরে প্রতিটি স্কুলকেই পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দিয়েছে বোর্ড। অ্যারাথুন জানান, নতুন নির্দেশিকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর নীতিনির্দেশ থাকছে।
গত অক্টোবরে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি সব স্কুলেই বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ বার আইসিএসই বোর্ডের নতুন নির্দেশিকার ফলে পড়ুয়াদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন একটি স্কুলের কর্তা। তবে নির্দেশিকা যেন খাতায়-কলমে আটকে না-থাকে, সে-দিকে নজর রাখা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা শিবিরের সকলেই।
অ্যারাথুন জানান, ইতিমধ্যে সব স্কুলের কাছে নবম ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সময় জানতে চাওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে বোর্ড এ বার পরীক্ষার নির্ঘণ্ট স্থির করে দেবে। বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করবে কাউন্সিল। সিবিএসই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ো গোটা দেশ জুড়ে আলোড়ন চলছে। প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অ্যারাথুন বলেন, ‘‘প্রশ্নপত্র কোথায় ছাপা হয়, সেটাই আমি জানি না।’’
নিরাপত্তা নির্দেশিকা
• স্কুলের সব পক্ষ নিয়ে কমিটি
• নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার
• দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন বিষয়ে সচেতন করা
• মানসিক ও শারীরিক হেনস্থার অভিযোগে দ্রুত ব্যবস্থা
• পড়ুয়ার নিয়মিত খোঁজ রাখা
• বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দিকে বাড়তি নজর
• যৌন হেনস্থায় আইনি পদক্ষেপ