নবকুমার মণ্ডলকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে এনআইএ । —প্রতীকী ছবি।
আচমকা হানা দিয়ে ময়নার বাকচার বিজেপি নেতা বিজয় ভুঁইয়া খুনের অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নবকুমার মণ্ডলকে গ্রেফতার করল এনআইএ। ওই হত্যা মামলায় পুলিশ আগেও একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও এনআইএ’র এই প্রথম কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল।
২০২৩ সালের ১ মে বাকচার গোড়ামহল গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কে বাড়ির কাছ থেকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিজয়ের স্ত্রী লক্ষ্মীরানি বাকচা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরা-সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ময়না থানার পুলিশ অভিযুক্ত ন’জনকে গ্রেফতার করেছিল। তবে চার্জশিটে অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনের নাম তারা বাদ দেয়। এতে কয়েকজন আদালতে জামিন পান। এমন অবস্থায় বিজয় ভুঁইয়ার পরিবার ওই মামলার তদন্তে পুলিশের উপর আস্থা না রেখে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দ্বায়িত্ব দেওয়ার জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। চলতি বছর এপ্রিলে হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলাটির তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’কে দ্বায়িত্ব দেন।
এনআইএ আধিকারিকেরা মঙ্গলবার বিকেলে গোড়ামহল গ্রামে নবকুমারের বাড়িতে আচমকা হানা দেন। এবং তাকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তের দ্বায়িত্ব পাওয়ার প্রায় আট মাস পর এই প্রথম কাউকে গ্রেফতার করল এনআইএ। ফলে ওই মামলায় পুলিশ এবং এনআইএ নিয়ে মোট ১০ জন তৃণমূল নেতা- কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। তবে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ন’জনকেও আদালতের নির্দেশে এনআইএ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল। এ দিন নবকুমারকে গ্রেফতারের পরেই ময়না থানায় নিয়ে গিয়ে যাবতীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সারা হয়। পরে সন্ধ্যায় তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামে নবকুমারের মুদি দোকান রয়েছে। তিনি এলাকায় তৃণমূলের কর্মী হিসেবে পরিচিত। খুনের মামলার অধিকাংশ অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন। সেই তালিকায় ছিল নবকুমারও। তবে সে কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফেরে। খবর পেয়ে এ দিন বিকেল এনআইএ ওই অভিযান চালায়।