গোপাল গুন। নিজস্ব চিত্র
পাকা রাস্তা থেকে বেশ খানিকটা দূরে মাটির ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপি নেতা গোপাল গুন (৩৮)। জাতীয় সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্রাক্টর। আচমকা সেটা দিক বদল করে রাস্তা থেকে নেমে এসে গোপালবাবুকে ধাক্কা দেয়। গোপালবাবু বুকে আঘাত পেয়ে সেখানেই মুখ থুবড়ে পড়েন। ট্রাক্টরটা সামনের একটি দেওয়ালে ধাক্কা দিয়ে থেমে যায়। কেউ কিছু বোঝার আগেই ট্রাক্টরের চালক পালিয়েছেন। গোপালবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি।
বিজেপির দাবি, গোপালবাবুকে খুনই করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, ট্রাক্টর চালকের খোঁজ চলছে। তাঁকে পেলেই বোঝা যাবে কী হয়েছে। ট্রাক্টরটা পতিরাম এলাকারই। তার মালিকেরও খোঁজ শুরু হয়েছে।
গোপালবাবু পতিরাম এলাকার বহিচারের বুথ সভাপতি ছিলেন। অমায়িক ব্যবহার ও কাজকর্মে এলাকায় বেশ জনপ্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। এই এলাকায় বিজেপি প্রায় সব আসনেই প্রার্থীও দিতে পেরেছে। গোপালবাবুর হাত ধরেই সংগঠন বাড়ছিল বলে বিজেপি নেতাদের দাবি।
সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে এ দিন বাহিচা মোড়ে রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে গোপালবাবু দলের কয়েক জন কর্মীর সঙ্গে তা নিয়েই আলোচনা করছিলেন। তখনই ট্রাক্টরটা তাঁকে ধাক্কা দেয়। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, ‘‘গোপালবাবুকে
খুনই করা হয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।’’ তৃণমূলের এলাকার জেলা পরিষদ প্রার্থী প্রবীর রায়ের বক্তব্য, ‘‘নিছক দুর্ঘটনাকে রাজনীতির রং দেওয়া হচ্ছে। ভোটের মুখে ঘটনাটা নিয়ে রাজনৈতিক লাভ তুলতে চাইছে বিজেপি।’’