১৪৪ ধারা জারি আজও

ফিরে এল শহরের চেনা ছবি

আসানসোলে আনাজ আসে মূলত পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়া থেকে। কিছু আনাজ আসে ঝাড়খণ্ড থেকেও। গত কয়েক দিন ধরে সীমানা এলাকায় কড়াকড়ি থাকায় আনাজের জোগানে খানিকটা খামতি ছিল। দরও চড়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৩৫
Share:

চৈত্র সেলের বাজারে। নিজস্ব চিত্র

তিন দিন পরে ফের নিজের মেজাজে আসানসোল।

Advertisement

ভোর ৬টা থেকে বসে গিয়েছে বাজার। বড় বিপণিরও দরজা খুলেছে। ফুটপাতে বসেছেন দোকানিরা। একটু বেলা বাড়তেই হাজির ক্রেতারাও। রাস্তায় বাস চলেছে শুক্রবারও। তবে যাত্রী বিশেষ ছিল না। শনিবার অবশ্য বাসে বেশ ভিড়। সব মিলিয়ে, এ দিন শহরের চেহারা দেখে স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন অনেক বাসিন্দাই।

আসানসোলে আনাজ আসে মূলত পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়া থেকে। কিছু আনাজ আসে ঝাড়খণ্ড থেকেও। গত কয়েক দিন ধরে সীমানা এলাকায় কড়াকড়ি থাকায় আনাজের জোগানে খানিকটা খামতি ছিল। দরও চড়েছিল। গাড়ি যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করায় ঝাড়খণ্ড থেকে আনাজের গাড়ি আসেনি। তবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনাজ আসায় এ দিন বাজার ছিল স্বাভাবিক। কয়েক দিন পরে এসেছিলেন ক্রেতারাও। শুক্রবার বাজার আংশিক খুললেও ক্রেতার দেখা ছিল না। তবে এ দিন ক্রেতার সংখ্যা ছিলই ভালই, দাবি বিক্রেতাদের।

Advertisement

শহরের ৬৫টি মাছের আড়তের সব ক’টিই চালু হয়েছে এ দিন। অন্ধ্রপ্রদেশ ও দিঘা থেকে মাছের গাড়িও ঢুকেছে স্বাভাবিক ভাবে। এই আড়তগুলি থেকে মাছ যায় কুলটি, বরাকর, বারাবনি, জামুড়িয়া, বার্নপুর-সহ মহকুমার নানা প্রান্তে। এ দিন দেখা যায়, ওই সব এলাকা থেকে ক্রেতারাও ভিড় জমিয়েছেন। মাছ ব্যবসায়ী সংগঠনের সেক্রেটারি তথা মাছের আড়তদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘‘মাছ নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছিলাম আমরা। তা এ দিন দূর হয়েছে।’’

চৈত্র সেলের বাজারে তিন দিন বন্ধ ছিল। এ দিন ফের পসরা সাজিয়ে বসেন কাপড়ের দোকানদারেরা। বিকেলে রীতিমতো ভিড়ও হয়। সপ্তাহান্তে ক্রেতারা বাজার করতে বেরিয়েছিলেন। শুক্রবার পর্যন্ত এটিএম পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছিল। এ দিন বেশির ভাগ এটিএম-ই স্বাভাবিক ছিল বলে গ্রাহকেরা জানান। ব্যাঙ্কেও স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে।

তবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যা চলেছে এ দিনও। অনলাইনে আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ। বণিক সংগঠনের কর্তা সুব্রত দত্ত জানান, আয়কর দফতরকে একটি বাড়তি দিন সময় দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। তবে তা রাখা হয়নি। ফলে, কেউ দুর্গাপুর, কেউ পুরুলিয়া গিয়ে কাজ সেরেছেন। অনেকে তা পারেননি। ইন্টারনেটের অভাবে কাজ ব্যাহত হয়েছে বিভিন্ন অফিসেও। আসানসোল পুরসভা, বিএলএলআর অফিস, রেজিস্ট্রি অফিস-সহ সরকারি নানা দফতরে সমস্যা হয়েছে কাজে।

এলাকায় পুলিশি টহল চলেছে দিনভরই। ১৪৪ ধারার সময়সীমা শনিবার রাত ১২টা থেকে বাড়িয়ে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে তেতে থাকা এলাকায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে, কোথাও কোনও বহিরাগত রয়েছে কি না। আসানসোলে ৪৬ জন ও রানিগঞ্জে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১৪ জনকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement