West Bengal Municipal Election 2020

কেন্দ্রীয় কর্মীও নেওয়ার ইঙ্গিত পুর নির্বাচনে

কলকাতা-সহ রাজ্যের ১১১টি পুরসভায় সংরক্ষিত আসনের তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:২৫
Share:

রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

কলকাতা এবং লাগোয়া বিভিন্ন জেলা প্রশাসনকে পুরভোটের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বুধবার কমিশনের বৈঠকে ইঙ্গিত মিলেছে, এ বারেই প্রথম পুরভোটে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ভোটকর্মী হিসেবে দেখা যেতে পারে।

Advertisement

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়ার জেলাশাসকদের নিয়ে এ দিন কমিশনের দফতরে বৈঠক করেন কমিশনার সৌরভ দাস, সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য, যুগ্মসচিব ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন কলকাতা দক্ষিণ জেলার নির্বাচন অফিসারও। প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন কলকাতা উত্তরের জেলা নির্বাচন অফিসার। এ ছাড়া ওই সব জেলার নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত অফিসারেরাও উপস্থিত ছিলেন আলোচনায়। পুরভোটে কোথায় কেমন কর্মী ব্যবহার হবে, তা নিয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মীদের ভোটকর্মী হিসেবে ব্যবহারের প্রসঙ্গ ওঠে তখনই। এমনিতে স্থানীয় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় কর্মী ব্যবহারের নজির নেই। এ বার প্রয়োজন হচ্ছে কেন? কারণ, ২০১৫ সালের তুলনায় ভোটার এবং বুথের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। সেই জন্য শুধু শিক্ষক এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারী ব্যবহার করে ভোটের পর্যাপ্ত কাজ সামলানো যথেষ্টই সমস্যার হবে। তাই কেন্দ্রীয় কর্মীদের ব্যবহার করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয় এ দিনের বৈঠকে।

কলকাতা-সহ রাজ্যের ১১১টি পুরসভায় সংরক্ষিত আসনের তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে তার পরেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেই চর্চার প্রসঙ্গও উঠে এসেছিল কমিশনের এ দিনের বৈঠকে। ব্যালট পেপারে ভোট হবে, নাকি ইভিএমে, কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বৈঠকে উপস্থিত জেলা প্রশাসনের কর্তারা। স্পষ্ট জবাব মেলেনি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের আশ্বস্ত করেছেন কমিশনার।

Advertisement

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন থেকে গণনা— সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এ বারের পুরভোটে তা অটুট রেখেই আরও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হতে পারে। সেই জন্য কমিশন এখন থেকেই প্রযুক্তির সাজসরঞ্জাম পরীক্ষা শুরু করতে বলেছে জেলা প্রশাসনকে, যাতে ভোটের সময় কোনও সমস্যা না-হয়।

২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা। ভোট হবে সেই তালিকা ধরেই। এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও চিঠি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটার তালিকা নিয়ে সবিস্তার আলোচনা শুরু করেছেন কমিশনের কর্তারা। বুথগুলির হালহকিকত বুঝে কয়েক দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বৈঠকে উপস্থিত জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement