ছবি পিটিআই।
চলতি সপ্তাহের তৃতীয় সার্বিক লকডাউন প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার লকডাউন হয়েছে। এর পরে আজ, শুক্রবার এবং আগামিকাল শনিবার— পর পর দু’দিন লকডাউন হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট) রয়েছে। তার আগে টানা দু’দিন লকডাউন চললে দূর জেলার পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে সমস্যায় পড়বেন। সেই কারণেই শনিবার লকডাউন হবে না বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ, শুক্রবার অবশ্য পূর্বঘোষণা মতোই লকডাউন হবে রাজ্য জুড়ে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথমে এক টুইট-বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্য জুড়ে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ডাকা হয়েছিল। কিন্তু ১৩ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা থাকায় ১২ তারিখের লকডাউন প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে ১২ তারিখের লকডাউন প্রত্যাহার করা হল। এতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধা হবে না। পরে বিকেলে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে চালু ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও
প্রশাসনের অন্দরের ব্যাখ্যা, আগামী রবিবার নিট থাকায় বিভিন্ন মহল থেকে লকডাউন প্রত্যাহার এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার দাবি উঠেছিল। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও মুখ্যমন্ত্রীকে ১২ তারিখের লকডাউন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান। এমনকি, কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কথা বলেন মুখ্যসচিবের সঙ্গে। তার পরেই লকডাউন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। বস্তুত, নিট-এর ক্ষেত্রে দূরবর্তী বহু এলাকা থেকে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে হয়। ঝুঁকি না-নিয়ে অনেকেই আগের দিন পরীক্ষাকেন্দ্রের নিকটবর্তী জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শনিবার লকডাউন হলে সেটা সম্ভব হত না। সেই কারণেই ১২ তারিখের লকডাউন প্রত্যাহার নিয়ে চাপ বাড়ছিল সরকারের উপরে।
আরও পড়ুন: কোভিডে মৃতার দেহ নীচে নামাতেই দাবি সাড়ে চার হাজার!