রাজ্যে ফেরার পর পড়ুয়াদের থার্মাল স্ক্রিনিং চলছে। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রাজ্যস্থানের কোটা থেকে ফিরলেন সেখানে আটকে পড়া পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। শুক্রবার সকাল থেকে অধিকাংশ পড়ুয়া বাসে করে রাজ্যে ফিরেছেন। তাঁদের অনেকে নিজের জেলায় ঠিক মতো পৌঁছে গিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। বিষয়টিও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী-সহ পরিবহণ দফতরের কর্তারা তদারকি করছেন।
তবে কোটায় বাসে ওঠার আগে এবং এ রাজ্যে পৌঁছনোর পর তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে কোটার একাধিক প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন বাংলার বহু পড়ুয়া। করোনার মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণার পর সেখানে আটকে পড়েন তাঁরা। বুধবার ২৫০০-র বেশি পড়ুয়া নিয়ে কোটা থেকে রওনা দিচ্ছে ১০১টি বাস। শিলিগুড়ি, আসোনসোল এবং কলকাতা— এই তিনটি জোনে কোটা থেকে ফিরছে বাসগুলি। এ রাজ্যে বাস পৌঁছনোর পর, নিজের জেলাতেও যাতে তারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শিলিগুড়িতে যে বাসগুলি ঢুকছে, তার তদারকি করছেন রয়েছেন উত্তরবঙ্গের রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের এমডি সন্দীপ দত্ত। আসানসোলের ক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গের এমডি গোধালা কিরণ কুমার আর কলকাতার বিষয়টি দেখছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন-এর এমডি রাজেনবীর সিংহ কপূর।
আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে ১৭ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ
আরও পড়ুন: কলকাতায় ভর্তুকিহীন এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমল প্রায় ২০০ টাকা, দেখে নিন নতুন দাম
গত সোমবারই এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী টুইট করেন এ বিষয়ে। তাতে লেখেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিষয়টির দিকে নজর রাখছি। প্রত্যেকের কাছে যাতে সাধ্যমতো সাহায্য পৌঁছয়, তার জন্য চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখছি না। ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলার যে সমস্ত পড়ুয়া কোটায় আটকে রয়েছেন, খুব শীঘ্রই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন তাঁরা।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)