Prashant Kishore

লকডাউনেও কি পিকে সক্রিয় রাজ্যে

তবে সড়কপথে তিনি এখানে পৌঁছেছেন কি না, তার স্পষ্ট হদিস মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ০৪:১৫
Share:

প্রশান্ত কিশোর। ফাইল চিত্র।

লকডাউনের মধ্যেই তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর কি কলকাতায় পৌঁছেছেন? এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে। পিকে পণ্যবাহী বিমানে ‘গোপনে’ কলকাতায় আসেন বলে যে প্রচার চলেছে তার প্রতিবাদ করে তিনি অবশ্য মামলার হুমকি দিয়েছেন।

Advertisement

তবে সড়কপথে তিনি এখানে পৌঁছেছেন কি না, তার স্পষ্ট হদিস মেলেনি। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে শনিবার তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ করা হয়। কলকাতায় আসার বিষয়টি উহ্য রাখলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারও আমার বিরুদ্ধে লকডাউন বিধি ভঙ্গের কিছু পায়নি।’’ তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘কেন আমি লকডাউন বিধিভঙ্গ করব?’’ পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের আরও প্রশ্ন, ‘‘দেশের কোনও বিমানবন্দরে পা রাখলে তা কি গোপন রাখা সম্ভব?’’

এ দিকে সূত্রের খবর, পিকে কলকাতায় আসেন রেশন বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ও করোনা পরীক্ষার কিট নিয়ে বিতর্ক সামনে আসার পরে। তিনি রেশন বিলির অভিযোগ মোকাবিলায় তৃণমূলকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। প্রকাশ্যে কেউ না বললেও তৃণমূলের অন্দরের খবর, এই পরিস্থিতিতে একাধিক বিষয়েই পিকের সঙ্গে দলের মত বিনিময় হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারে শরিক হচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল

আরও পড়ুন: বিজ্ঞপ্তি দেখে খুলল শহরের কিছু দোকান

করোনা মোকাবিলা নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নানা ভাবে রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। একই বিষয় নিয়ে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য প্রসাসনের মধ্যেও। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই অবস্থায় রাজ্যের ভূমিকা ও তা প্রচারে নিয়ে আসার বিষয়টি হাতে নেয় প্রশান্তের সংস্থা। তাঁর পরামর্শেই করোনা পরীক্ষায় কেন্দ্রের পাঠানো ‘কিট’-এর বিষয়টি তথ্য-সহ স্পষ্ট করে রাজ্য স্বাস্থ্য প্রশাসন।

করোনা মোকাবিলায় পিকে’র সংস্থা ‘আইপ্যাক’ও দেশের বিভিন্ন শহরে ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ৫ এপ্রিল থেকে দেশের বহু শহরে রান্না খাবার বিলি করার এই প্রকল্প চলছে। মূলত পরিযায়ী শ্রমিক, দিনমজুর এবং গৃহহীনদের মধ্যেই এই খাবার বিলি করা হয়েছে।

এ রাজ্যেও ত্রাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছে আইপ্যাক। শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন টিম পিকে’র সদস্যেরা। কোথায়, কী ভাবে মানুষকে ‘রিলিফ’ দেওয়া যায়, পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে দলের নাম, নেত্রীর ছবি ইত্যাদির ব্যবহার সম্পর্কেও দলের জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করা হচ্ছে বলে খবর। ত্রাণ নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনা ও রাজ্যের সক্রিয়তার বিষয় কী ভাবে প্রচারে আনা দরকার সেই ব্যাপারেও শাসকদলের নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন টিম পিকে’র সদস্যেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement