প্রতীকী ছবি
কেন্দ্রের সব নির্দেশ তিনি মানবেন, যদি তা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট না-হয়। করোনা-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোমবার এ কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় টিমের নাম করে চার-পাঁচ জন এসেছেন, আমি তাঁদের সম্মান করি। সকালে মুখ্যসচিব, দুপুরে স্বরাষ্ট্রসচিবকে ডাকবে। সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যসচিব, তার পরে ডিএম-এসপি-কে ডাকবে, তা হলে তারা কাজ করবে, না হাজিরা দেবে?’’
রাজ্য সরকারের এহেন অবস্থানের মধ্যেই সোমবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের দুই প্রান্তেই করোনা-পরিস্থিতি ঘুরে দেখে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল। কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় দল পূ্র্ব মেদিনীপুরে যায়। পাঁশকুড়া ও হলদিয়া হাসপাতাল, নিভৃতবাস (কোয়রান্টিন) কেন্দ্র পরিদর্শন করে তারা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘আমি জেলা প্রশাসনের থেকে জানতে পারি বড়মায় কেন্দ্রীয় দল আসছে। আমার দফতরকে কিছু জানানো হয়নি। তবে ওঁরা যা যা তথ্য চেয়েছিলেন, সবই দিয়েছি।’’
উত্তরবঙ্গের দল প্রথমে ফুলবাড়ি ট্রাক টার্মিনাসে যায়। অসম থেকে খালি ট্রাক নিয়ে আসা চালকদের সঙ্গে কথা বলেন পর্যবেক্ষকেরা। তাঁদের স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক আছে কি না জানতে চান। শিলিগুড়ির কাছে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত জ্যোতিনগরেও যান তাঁরা। সেখানে পুলিশের কাছে জানতে চান, লকডাউন কতটা মানা হচ্ছে। এ পরে জলপাইগুড়ি যায় প্রতিনিধি দল। জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালের প্রশংসা করলেও জেলায় লকডাউন মানা হচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এ দিন তাঁদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের এক আধিকারিক ছিলেন।