ছবি: পিটিআই।
কোভিড সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকায় আনলক পর্বেও নব কলেবরে কন্টেনমেন্ট এলাকা চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রণবিধি আরোপ করেছে রাজ্য। কিন্তু কী ভাবে বলবৎ হবে, তা স্থানীয় প্রশাসনের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছে নবান্ন।
শীর্ষ আমলাদের একাংশ একে ক্ষমতার ‘বিকেন্দ্রীকরণ’ বললেও নিয়ন্ত্রণবিধির সাফল্য বা ব্যর্থতা এখন কার্যত স্থানীয় প্রশাসনগুলির উপরেই বর্তাচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাজ্য কী চায়, তা লিখিত ভাবে সব জেলাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই লিখিত বয়ানে উল্লিখিত বিধির নিরিখে উপধারা তৈরির দায়িত্ব বর্তেছে স্থানীয় প্রশাসনগুলির উপরে। লিখিত সেই বার্তার মূল বক্তব্য, নতুন নির্দেশিত কন্টেনমেন্ট এলাকায় সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, জরুরি নয় এমন পরিষেবা, সমাবেশ, পরিবহণ, বাজার, শিল্প-বাণিজ্য বন্ধ থাকতে পারে। সংশ্লিষ্ট এলাকার আওতায় থাকা মানুষদের অফিসে না গেলেও চলবে। ওই এলাকায় ঢোকা-বেরনোতে থাকবে কড়া নিয়ন্ত্রণ। স্থানীয় প্রশাসন হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করবে।
জেলা প্রশাসনগুলির বেশিরভাগই ত্রিস্তরীয় উপায়ে বিধি কার্যকর করছে বলে দাবি। এক, পুলিশের মাধ্যমে কন্টেনমেন্ট এলাকাগুলি উপযুক্ত ভাবে ‘সিল’ করা এবং সেখানকার মানুষের চাহিদার দিকে খেয়াল রাখা। দুই, জেলা বা পুর-স্বাস্থ্যকর্তাদের মাধ্যমে নাগরিকদের শারীরিক অবস্থা যতটা সম্ভব নজরে রাখা এবং তিন, এলাকা পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে পদক্ষেপ করা। প্রধানত ওষুধ, দুধ, মুদিখানার দোকানগুলি নিয়ন্ত্রণের বাইরে রাখা হয়েছে। বাকি পরিষেবায় রাশ টেনেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে কন্টেনমেন্ট জ়োনে ব্যাঙ্ক খোলা রাখা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।