মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
মদের হোম ডেলিভারি নিয়ে বুধবার একটি খবর চাউর হয়। কিন্তু কলকাতা পুলিশের তরফে পরে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই খবর ঠিক নয়। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন বণিকসভার পাশাপাশি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতি ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষেত্র, হোটেল ও পর্যটন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকে শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
লকডাউনের মধ্যে মদের জোগান স্বাভাবিক রাখা নিয়ে বেশ কিছু মহল থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। কারণ, এর সঙ্গে রাজস্বের একটা বড় অংশ জড়িয়ে রয়েছে। ফলে, আগামিকালের বৈঠকে নানা বিষয়ের সঙ্গে মদের হোম ডেলিভারির প্রসঙ্গও উঠতে পারে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। লকডাউনের সময় আদৌ বাড়িতে মদ পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে সুবজ সঙ্কেত মিলবে কি না, তা ওই বৈঠকের পর স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার বিকেলে একটি খবর চাউর হয়— লকডাউনের মধ্যে মদের হোম ডেলিভারি দেওয়া হবে। পুলিশের কাছ থেকে ‘পাস’ নিয়ে ওই হোম ডেলিভারির কাজ শুরু করা হবে বলেও খবর ছড়ায়। কলকাতা পুলিশের একাংশের কাছেও সে খবর পৌঁছয়। এর পর পুলিশ মহলে তোলপাড় শুরু হয়। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “খবরটি ঠিক নয়।”
আরও পড়ুন: এ বার করোনায় আক্রান্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সহকারী সুপার
এর পরেই শুরু হয় তদন্ত। কে বা কারা ওই বার্তা ছড়িয়েছে, তা জানার চেষ্টা করে পুলিশ। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, আবগারি দফতরের সঙ্গে আলোচনার পরেই প্রশাসনিক স্তরে মদ বিক্রি নিয়ে নির্দেশিকা বেরনোর কথা। পুলিশের একার পক্ষে এই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি পৌঁছয় নবান্ন পর্যন্তও।
আরও পড়ুন: স্যানিটাইজার, মাস্ক বানিয়ে করোনাযুদ্ধে সৈনিক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামিকাল ব্যবাসায়িক সংস্থাগুলির সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন। লকডাউনের সময়সীমা যদি বাড়ে, তা হলে কী ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে। সেই সময়েই মদের হোম ডেলিভারি নিয়েও ব্যবসায়ীদের মত নেওয়া হতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)