ছবি: সংগৃহীত।
পাহাড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় আগামী সপ্তাহে দার্জিলিঙের বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার প্রশাসনের আশ্বাসে সেই অবস্থান থেকে শেষ অবধি পিছিয়ে এলেন তাঁরা। এ দিন বিকেলে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকে জট খোলে। প্রশাসন আশ্বাস দেয়, বাজার, মোটরস্ট্যান্ড নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হবে। ভিড় নিয়ন্ত্রিত হবে। দার্জিলিঙে ঢোকা-বেরনোর পথেও কড়া নজরদারির আশ্বাস দেওয়া হয়। এর পরেই সিদ্ধান্ত বদলায় ব্যবসায়ীদের যৌথ মঞ্চ, ‘সেভ দার্জিলিং কোভিড-১৯ প্রোটেকশন কমিটি’। তারা জানায়, সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
লকডাউনের মধ্যেই পাহাড়ে করোনা নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছিল। কয়েক দিন ধরে পুলবাজার এলাকার দোকান বন্ধ। সেই পথেই হাঁটতে চাইছিলেন দার্জিলিঙের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু প্রশাসন চাইছিল না, এত দিন লকডাউনের পরে ফের পাহাড়ে বাণিজ্যিক কেন্দ্র বন্ধ থাকুক। প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন, পর্যটন ব্যবসা যেটুকু চলবে, তা পাহাড়েই। এর মধ্যেই দার্জিলিঙে বেড়াতে এসে হুমকির মুখে পাহাড় ছাড়তে বাধ্য হন বলে অভিযোগ করেছেন কলকাতার পর্যটক দেবাশিস রায়চৌধুরী ও তাঁর পরিবার। পাহাড়বাসীদের অনেকে বলছেন, বাইরের লোকেদের থেকে সংক্রমণ বাড়তে পারে— এমন ভয় থেকেই এই ঘটনা।
শনিবার সন্ধ্যায় যৌথ মঞ্চের এক কো-অর্ডিনেটর এসএন প্রধান বলেন, ‘‘ভিড় নিয়ন্ত্রণ, জীবাণুমুক্তকরণের আশ্বাস প্রশাসন থেকে পেয়েছি। এখন খোলা থাকবে সব কিছু। পর্যটকদের তো আসতে বারণ করতে পারি না। তবে এখন এলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাহাড়ে ঘোরার ক্ষেত্রে সংশয় থেকে যায়।’’ দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নম বলম বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ নেই বন্ধের। ব্যবসায়ীরা সম্মত হয়েছেন। জীবাণুমুক্তকরণ এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণ করবে প্রশাসন।’’
আরও পড়ুন: সাসপেন্ড হলেন সবুজকলি, দুই কর্তা