প্রতীকী ছবি।
মোবাইলে এক কিশোরীর ছবি তুলে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল এক যুবক। তদন্তে পুলিশ ওই অভিযুক্তের ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে। মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফোনে থাকায় তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় পার্ক সার্কাসের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (সিএফএসএল)। কিন্তু বিজ্ঞানীর অভাবে হাজারখানেকের বেশি নমুনার রিপোর্ট বাকি রয়েছে। তাই বাজেয়াপ্ত নমুনা হায়দরাবাদ অথবা গুয়াহাটি পাঠাতে হবে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য।
লকডাউনের আগে এমন অভিজ্ঞতা হয় কলকাতা পুলিশের অফিসারের। মোবাইল বা কম্পিউটার হার্ডডিস্কের মতো বাজেয়াপ্ত সাইবার অপরাধের গুরুত্বপূর্ণ নথির ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য একই অভিজ্ঞতা হয়েছে আরও অনেক তদন্তকারীর। অভিযোগ, ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য চার্জশিট দিতে দেরি হচ্ছে।
ভবানীভবন সূত্রের খবর, এ বার রাজ্য প্রশাসন নিজেরাই সাইবার অপরাধের গতি আনতে একটি রাজ্য ফরেন্সিক সাইবার ল্যাবরেটরি বানাতে তৎপর হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই ল্যাবের জন্যে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়েছে। সিআইডির অধীনে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের ওয়েবেল বিল্ডিংয়ে ওই সাইবার ল্যাবরেটরি বানানো হচ্ছে। তার মাথায় থাকবেন এক জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ডিরেক্টর। ওই ল্যাবরেটরির নমুনাও যাতে আদালতে গ্রাহ্য হয় তার জন্য ডিরেক্টরকে সিএফএসএল-এর মতোই ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। প্রস্তাবিত ল্যাবরেটরিতে সিআইডি সাইবার শাখার অফিসার ছাড়াও প্রায় এক ডজন সাব-ইন্সপেক্টর নেওয়া হবে নমুনা পরীক্ষার জন্য। এছাড়া থাকবে দুজন ইন্সপেক্টর এবং একজন ডিএসপি। কলকাতা পুলিশ-সহ গোটা রাজ্যের সাইবার অপরাধে বাজেয়াপ্ত মোবাইল বা নথির নমুনা পরীক্ষার জন্যে সাইবার বিশেষজ্ঞ বা বিজ্ঞানী নেওয়া হবে। সেই কাজ শুরু হয়েছে বলে পুলিশের খবর। সূত্রের খবর, রাজ্যে সাইবার অপরাধ বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি সাইবার বিজ্ঞানীর সংখ্যা। তাই সব থানাকেই সাইবার অপরাধের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।