প্রতীকী ছবি।
সরকারি হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল, দিনদিন বাড়ছে সিজারের মাধ্যমে প্রসবের সংখ্যা। রাজ্যের হাসপাতালে কত সংখ্যক অন্তঃসত্ত্বার সিজার করে সন্তান প্রসব হচ্ছে তার হিসাব নেবে স্বাস্থ্য ভবন। সেই মর্মে প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ‘সিজারিয়ান সেকশন’ অডিট করার নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
মা বা গর্ভস্থ শিশুর অবস্থা বুঝে সিজার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কিন্ত সেটাই কি এ বার লাগাম ছাড়া হয়ে যাচ্ছে! প্রয়োজন ছাড়াই কি করা হচ্ছে সিজার? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং পঞ্চম জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা (এনএফএইচেএস-৫) ‘সিজারিয়ান সেকশন’ পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রতি জেলায় নির্দেশিকা পাঠাল স্বাস্থ্য দফতর।
পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী আগে দেশে আগে ১৭ শতাংশ সিজার হত এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ শতাংশে। দেশে যে সব রাজ্যে সিজার বেশি হয় তার মধ্যে বাংলা অন্যতম। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ৩৪ শতাংশই সিজার হয়ে থাকে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। সিজরের সংখ্যায় রাশ টানতে এ বার থেকে কোন পরিস্থিতিতে রোগীর সিজার করা হচ্ছে তা জানাতে হবে চিকিৎসকদের। প্রতিদিন কত জনের সিজার করা হচ্ছে তার হিসাবও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
বর্তমানে সিজারের প্রবণতা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে চিকিৎসক সিজারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু প্রয়োজন ছাড়াই সিজারের ফলে মা বা শিশুর স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাবের কোনও প্রমাণ নেই বলেও নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের মতে অহেতুক সিজারের প্রবণতায় রাশ টানা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সিজারের সিদ্ধান্তে জোর দিতে অডিট করার নির্দেশ।