ছবি এএফপি।
উপর্যুপরি নির্দেশ সত্ত্বেও আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠকের পরে ফের দাম কমানোর নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। সাত দিনের মধ্যে দাম না-কমলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলুর দাম কমাতে ৭ অগস্ট নবান্নের প্রথম বৈঠকে বলা হয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে পাইকারি বাজারে আলুর দাম ২২ টাকা কেজিতে নামিয়ে আনতে হবে। তা হলে খোলা বাজারে দাম হবে ২৫ টাকা। কিন্তু কাজ হয়নি। চলতি মাসে ফের প্রশাসনিক বৈঠকে একই নির্দেশ দেওয়া হয়। লাভ হয়নি।
সূত্রের খবর, এ বার সরাসরি পাইকারি বাজারে নজরদারি চালাবে সরকার। সেখানে যাঁরা আলুর দাম স্থির করেন, তাঁদের ঠিকানা এবং ফোন নম্বর সরকারকে দিতে বাধ্য থাকবেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বারংবার নির্দেশ সত্ত্বেও আলুর দাম কমছে না কেন? প্রশাসনের বক্তব্য, গোটা দেশেই আলুর সঙ্কট তৈরি হয়েছে। কর্নাটকে প্রবল বর্ষণে আলু উৎপাদন মার খেয়েছে। ফলে এখানকার ব্যবসায়ীরা ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠাতে বেশি আগ্রহী। ৭ অগস্টের বৈঠকের পরে আট লক্ষ টন আলু ভিন্ রাজ্যে চলে যাওয়ায় দাম কমছে না বাংলায়। রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বলেন, “সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। প্রত্যেকে সম্মত হয়েছেন। তার পরেও দাম না-কমলে ব্যবস্থা হবে। দরকারে সরকার আলু কিনে তা বিক্রি করবে।” নির্দিষ্ট সময়ে দাম নিয়ন্ত্রণে না-এলে আলু রফতানিতে কড়াকড়ির ইঙ্গিতও দিয়েছে প্রশাসন।