ফাইল চিত্র।
আমপান মামলায় ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-কে অডিটের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেই আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণন। একইসঙ্গে এ দিন আমপান সংক্রান্ত আরও একটি মামলা আদালতের সামনে উঠেছে। আব্দুল খালেক মোল্লা নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করে জানান, রাজ্য সরকার ঝড়ে যে ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন তা জমির মালিকেরা পেয়েছেন। কিন্তু রাজ্যে চুক্তিচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ক্ষতিপূরণ পাননি। আগামী ১৬ ডিসেম্বর এই মামলাটির শুনানি রয়েছে।
এ দিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে জানান, আমপান মামলায় রায় নিয়ে রাজ্যের বক্তব্য রয়েছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি জানান, রাজ্যকে বক্তব্য জানানোর যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে সময় বা পুনর্বিবেচনা করা সম্ভব নয়। তবে রাজ্য চাইলে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যেতে পারে। রাজ্য এই রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে কি না, তা রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে অনেকেই মনে করছেন, আমপানের ক্ষতিপূরণের পর যা গরমিল সামনে এসেছিল এবং তার পরবর্তী কালে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে রাজ্য সরকার ধাক্কা খেয়েছিল। এ দিন পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের এক বার ধাক্কা খেল প্রশাসন।
আইনজীবীদের অনেকে দ্বিতীয় মামলাটিকেও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন। তাঁরা বলছেন, চুক্তি চাষিদের বিষয়টি আগে এ ভাবে সামনে আসেনি। মামলাকারীর আইনজীবী অরিন্দম মান্না ও সিদ্ধার্থশঙ্কর মণ্ডল জানান, সংবাদপত্রে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট বেরিয়েছিল। তার ভিত্তিতেই মামলাটি রুজু করা হয়। চুক্তি চাষিদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে সরকারের অবস্থান কী তাও মামলায় জানতে চাওয়া হয়েছে।