বিক্ষোভ ঠেকাতে এ বার ইন্টারনেটে লাগাম। —নিজস্ব চিত্র।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভের অশান্তি কমার কোনও লক্ষণ নেই রাজ্যে। টানা তৃতীয় দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে রেল পথ অবরোধ করে রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাই এবার ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য।
নবান্ন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি রবিবারও নিয়ন্ত্রণে না আসায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মালদহ, মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং ও বারুইপুরের কিছু অংশ এবং বসিরহাট ও বারাসত মহকুমারও কিছু জায়গায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেই নিয়ন্ত্রণের পরিধি আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে। হাওড়া এবং উত্তর দিনাজপুরেও এই নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, রবিবারও সকাল থেকে দেখা যায় রাজ্যের নতুন নতুন জায়গায় আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে এবং সেই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়াচ্ছে। রবিবার থেকে মালদহ জেলার বিভিন্ন অংশে রেলপথ এবং জাতীয় সড়ক অবরোধের খবর এসেছে। একই রকম ভাবে বীরভূম জেলার মুরারইয়ের দুটি ব্লকেই বিক্ষোভ বাড়ছে বলে খবর এসেছে নবান্নে। পর পর রেল এবং সড়ক পথ অবরোধ, বিক্ষোভ চলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মল্লিকপুর, বারুইপুর, মহেশতলা, হটুগঞ্জে। অন্যদিকে এ দিন সকাল থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগণায় আমাডাঙার সোনাডাঙা, ধানকল, কামদেবপুরে।
মালদহের ভালুকা এবং কুমেদপুর স্টেশনে একটি বিশাল জমায়েত ট্রেন লাইন অবরোধ করে রয়েছে। ফলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের একের পর এক ট্রেন আটকে পড়েছে বিভিন্ন স্টেশনে। বাতিল করা হচ্ছে বহু ট্রেন।